প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রীর আন্তরিক আগ্রহে কলকাতার সীমানা ছাড়িয়ে জেলায় জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে কার্নিভালের উদ্দীপনা। বৃহস্পতিবার কার্নিভাল জমে উঠল যমজনগরী হাওড়া, কলকাতা লাগোয়া উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং হুগলিতে। উলুবেড়িয়াতেও হল বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান। হাওড়ায় গঙ্গাতীরে রামকৃষ্ণপুর ঘাট এবং তেলকল ঘাটের মাঝে ফোরশোর রোডে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং শোভাযাত্রায় অংশ নেয় শহরের ১৮টি পুজো কমিটি।
আরও পড়ুন-‘লক্ষ্মীগ্রাম’ খালনায় দুর্গোৎসবের মধ্যেই চলে লক্ষ্মীপুজোর প্রস্তুতি
উপস্থিত ছিলেন দুই মন্ত্রী অরূপ রায়, মনোজ তিওয়ারি, সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ, রানা চট্টোপাধ্যায়, প্রিয়া পাল, মুখ্য পুরপ্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী প্রমুখ। উলুবেড়িয়ায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী পুলক রায়। দমদম লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন পুজো কমিটির বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয় সোদপুর-পানিহাটি থেকে৷ সোদপুর স্বদেশি মোড়ে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ, বিধানসভার উপমুখ্য সচেতক তাপস রায়, উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাস, বরানগর পুরসভার উপপ্রধান দিলীপ নারায়ণ বসু প্রমুখ। ২৫টি পুজো কমিটির শোভাযাত্রা এই পুজোর কার্নিভালে অংশগ্রহণ করে। বারাসতের চাঁপাডালি মোড়ে শুরু হয় বিসর্জনের বিশেষ শোভাযাত্রা।
আরও পড়ুন-ছুটি শেষ, বিরাটরা এবার লখনউয়ে
বারাসত ছাড়াও বারাকপুরে চিড়িয়া মোড়ে এবং পানিহাটির স্বদেশি মোড়ে পুজো কার্নিভালকে ঘিরে মানুষের উৎসাহ ছিল লক্ষ্য করার মতো। মূল অনুষ্ঠান হয় জেলা সদর বারাসতে। বনগাঁ ও বারাসত মহকুমার ১৯টি পুজো কমিটি অংশগ্রহণ করে বারাসতে। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী, সহসভাধিপতি বীণা মণ্ডল, কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ, বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, আমডাঙার বিধায়ক রফিকুর রহমান, বারাসতের বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী, পুরপ্রধান অশনি মুখোপাধ্যায়, মধ্যমগ্রামের পুরপ্রধান নিমাই ঘোষ প্রমুখ। বারাকপুরে ১৮টি ও পানিহাটিতে ২৫টি পুজো কমিটি কার্নিভালে অংশগ্রহণ করে।
আরও পড়ুন-লেজার শো নিয়ে বিরক্ত ম্যাক্সওয়েল
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৪টি মহকুমায় কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হয়। অংশগ্রহণ করে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের ১৭টি পুজো কমিটি। উপস্থিত ছিলেন বজবজের বিধায়ক অশোক দেব, বিষ্ণুপুরের বিধায়ক পরিবহণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী দিলীপ মণ্ডল, ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক পান্নালাল হালদার। ক্যানিং মহকুমার ১৭টি পুজো কমিটি অংশগ্রহণ করে। কাকদ্বীপে কার্নিভালে উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা ও কাকদ্বীপের বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা, কুলপির বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার, পাথরপ্রতিমার বিধায়ক সমীর কুমার জানা, রায়দিঘির বিধায়ক অলক জলদাতা। বারুইপুরের কার্নিভালে অংশগ্রহণ করেছে ২৩টি পুজো কমিটি। হুগলিতে কার্নিভালে অংশগ্রহণ করছে ১৮টি বারোয়ারি পুজো কমিটি। উপস্থিত ছিলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ অপরূপা পোদ্দার, মন্ত্রী বেচারাম মান্না, মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, বিধায়ক অসিত মজুমদার, জেলাশাসক মুক্তা আর্য, পুলিশ কমিশনার অমিত জাভালভি প্রমুখ।