প্রতিবেদন: এবার আপের নির্বাচনী ভিডিওতেও কোপ পড়ল। অজুহাতও অদ্ভুত। কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন গেরুয়া দলের সমালোচনা ও পুলিশের প্রতি ‘বিস্বাদ’ মনোভাব তুলে ধরা হয়েছে ওই ভিডিওতে। যা নাকি নির্বাচনী বিধির পরিপন্থী। শুধু এই কারণ দেখিয়েই আপ-এর নির্বাচনী ভিডিও-র উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল নির্বাচন কমিশন। শুধু ভিডিও নয়, আপের নির্বাচনী প্রচারের গানেও বাদ সেধেছে কমিশন। আপ নেত্রী অতিশী এরপরই সাংবাদিক বৈঠক করে প্রশ্ন তোলেন, তাহলে কি নির্বাচন কমিশনও স্বীকার করে নিচ্ছে বিজেপি স্বেচ্ছাচারী সরকার? কিন্তু বিজেপি যে দিনের পর দিন ধরে আদর্শ আচরণবিধি ভেঙে চলেছে তা চোখে পড়ছে না কমিশনের?
আরও পড়ুন-খলিলুরের নির্বাচনী সভায় জাকির উজ্জীবিত কর্মী-সমর্থকদের ঢল
নির্বাচনী প্রচারে আপ-এর প্রচার ভিডিও-তে জেলবন্দি কেজরিওয়ালের ছবি নিয়ে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদের ছবি দেশের বিচার ব্যবস্থার উপর প্রশ্ন তুলছে বলে দাবি নির্বাচন কমিশনের। ভিডিও-তে আপ নেতা মণীশ শিশোদিয়াকে পুলিশের টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার যে ছবি ব্যবহার করা হয়েছে তাতে পুলিশের প্রতি ‘বিস্বাদ মনোভাব’ তৈরি হবে বলে দাবি নির্বাচন কমিশনের। এর পাশাপাশি কয়েক জায়গায় ‘তথ্য যাচাই না করেই’ কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দলকে অসম্মানজনক মন্তব্য করা ও সমালোচনা করা নিয়েও আপের দিকে আঙুল তুলেছে কমিশন। নিষেধাজ্ঞার এই চিঠি পাওয়ার পরই সাংবাদিক সম্মেলন করেন আপ নেত্রী অতিশী। তিনি দাবি করেন, বিজেপির আরেকটি রাজনৈতিক হাতিয়ার নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে আপ-এর নির্বাচনী প্রচার গানে নিষেধাজ্ঞা জারি করল। ভারতের ইতিহাসে প্রথমবার এরকম কিছু হল। আবার এই একই নির্বাচন কমিশন বিজেপির প্রতিদিনের আদর্শ আচরণবিধি ভাঙাকে দেখতেই পায় না। সেই সঙ্গে অতিশী আরও যোগ করেন, সিবিআই, ইডি ও অন্যান্য তদন্তে গ্রেফতার রাজনৈতিক নেতাদের নামে মামলা তাঁরা বিজেপিতে যোগ দিলেই বন্ধ হয়ে যায় তখন নির্বাচন কমিশন দেখতে পায় না। আর সেটা নিয়ে গান লেখা হলে দেখতে পায়। কমিশন বলছে, যদি একনায়কতন্ত্রের কথা তুলে ধরা হয় তাহলে শাসক দলের সমালোচনা করা হয়। এর অর্থ নির্বাচন কমিশনও বিশ্বাস করে যে বিজেপি একটি একনায়কতান্ত্রিক শাসন চালাচ্ছে।