প্রতিবেদন : স্কুলের শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন বন্ধ করতে কড়া পদক্ষেপ করল রাজ্য। সরকারি এবং সরকার সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের মোট ৬১ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বিকাশ ভবন। পুলিশকে সঙ্গে নিয়েই করতে হবে এই তদন্ত। ৫ জেলার স্কুল পরিদর্শকদের বলা হয়েছে, ওই ৬১ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন-সুরমায় আক্রান্ত ৮ বছরের শিশুকে মঞ্চে বসিয়ে নিজের উত্তরীয় দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
বিকাশভবন সূত্রে খবর, যে ৬১ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত হবে তার মধ্যে ৪৭ জন উত্তর ২৪ পরগনার, ৪ জন নদিয়ার, ২ জন শিক্ষকতা করেন বীরভূমে, ৩ জন কোচবিহারের এবং ৫ জন পুরুলিয়ার শিক্ষক। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক এমনকী দু’জন প্যারাটিচারও আছেন। কোন ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে তাঁদের বিরুদ্ধে? নির্দেশিকা বলছে, এই শিক্ষকদের প্রথমে একটা সুযোগ দেওয়া হবে। প্রথমে তাঁদের বলা হবে গৃহশিক্ষকতা ছাড়তে। রাজি হলে দিতে হবে মুচলেকা, ভবিষ্যতে আর কখনও প্রাইভেট টিউশন করবেন না। কিন্তু গৃহশিক্ষকতা ছাড়তে অসম্মত হলে সেই শিক্ষককে সাসপেন্ডও করতে পারবেন ডিআই। লক্ষণীয়, ২০০৯- এর সবার জন্য শিক্ষা আইন বলছে, কোনও স্কুল বা মাদ্রাসা শিক্ষক প্রাইভেট টিউশন করতে পারবেন না।
আরও পড়ুন-মাঝ আকাশে বিমানে আগুন, পাইলটের তৎপরতায় প্রাণ বাঁচল ১৮৫ জন যাত্রীর
শিক্ষার অধিকার আইনও এই বিষয়টাতেই সিলমোহর দিয়েছে। শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশনে নিষেধাজ্ঞার কথা একাধিকবার সার্কুলার দিয়ে জানিয়েছে রাজ্য। মাঝে কিছুদিন বন্ধ থেকেছে। কিন্তু আবার সেই একই প্র্যাক্টিশ। রমরমিয়ে চলছে টিউশন। স্কুল শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বেআইনি প্রাইভেট টিউশনের বিরুদ্ধে স্মারকলিপি দিয়ে একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েছে পূর্ণ সময়ের গৃহশিক্ষকদের সংগঠন। ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সংগঠনের সদস্যরা। সরকারি বা সরকার পোষিত স্কুলের শিক্ষকের তালিকাও জমা দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। এবারে রাজ্যের কড়া পদক্ষেপ বেআইনি গৃহশিক্ষকতায় রাশ টানবে বলে আশা করা যায়।