সুমন তালুকদার, টাকি: উৎসব শেষ, প্রস্তুত টাকি। ইছামতীবক্ষে মায়ের প্রতিমা নিরঞ্জন, নৌকাবিহার আর সন্ধ্যার আকাশে আতশবাজির প্রদর্শনীর জন্য প্রস্তুত টাকি। কঠোর নিরাপত্তায় বেঁধে ফেলা হয়েছে টাক-সহ সংলগ্ন এলাকা। সীমান্ত শহর জুড়ে থাকছে পুলিশ প্রশাসন আর সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কড়া নজরদারি।
আরও পড়ুন-শুভ বিজয়া
শতাব্দীপ্রাচীন দুই বাংলার বিসর্জন রাজ্য ছাড়িয়ে ভিন রাজ্য এমনকী বিদেশের ভৌগোলিক মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছে। বিসর্জনকে ঘিরে একেবারে অন্যরকম আবেগ অনুভূতি থাকায় ভারতবর্ষ-সহ বিদেশ থেকেও পর্যটকরা এই বিসর্জন দেখতে ভিড় জমান ইছামতীর পাড়ে। কিন্তু দুই বাংলার বিসর্জন ঘিরে ইতিমধ্যে কঠোর নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলেছে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। এই নিয়ে বিজিবি ও বিএসএফ বৈঠক শেষ করে ফেলেছে। টাকি পুরসভা ও বসিরহাট পুলিশ জেলা নিরাপত্তা চাদরে মুড়ে ফেলেছে, ইছামতীর রাজবাড়ি ঘাট, ঘোষবাবুর ঘাট, সৈয়দপুরের ঘাট ইতিমধ্যে মেন পয়েন্টগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-কর্মসংস্থানের উৎসব
বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী ইছামতী নদীর মাঝবরাবর পেট্রোলিং করবে, ইছামতী নদীর মাঝখান থেকে একটি দড়ি দিয়ে তাঁরা সীমারেখা চিহ্নিত করে ফেলেছেন। বাংলাদেশের প্রতিমা বাংলাদেশের সীমান্তে বিসর্জন হবে। ভারতীয় প্রতিমা ভারতের সীমান্তে বিসর্জন হবে। বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার ড. জবি থমাস জানান, ইছামতী নদীতে বিসর্জন ঘিরে সবরকম কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন। দুই দেশের ঠাকুরের নৌকা ও দর্শনার্থীরা কেউ কারও সীমান্ত অতিক্রম করবে না। সেই নির্দেশিকা জারি করেছে বসিরহাট পুলিশ জেলা।