প্রতিবেদন : আন্দোলনের নামে সম্পত্তি ভাঙচুর, লুঠ বা অগ্নিসংযোগের ঘটনা আটকাতে আরও কঠোর হচ্ছে রাজ্য। আইন পরিবর্তন করে সরকারি সম্পত্তির পাশাপাশি নাগরিকদের সম্পত্তিহানি আটকানোর ওপরেও সমান গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন-খতম হিজবুল প্রধান
এই উদ্দেশ্যে ১৯৭২ সালের মেনটেন্যান্স অফ পাবলিক অর্ডার আইনের একটি সংশোধনী মঙ্গলবার বিধানসভায় আনা হয়। অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বিল পেশ করে বলেন, কিছু অসামাজিক ব্যক্তি নিজস্ব উদ্দেশ্য সাধনের জন্য বা আন্দোলনের নাম করে সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি নষ্টের ঘটনা ঘটায়। সেক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ মেটাতে অপরাধীর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার উপযোগী সংশোধনী আনা হচ্ছে। তিনি বলেন, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট আটকাতে আইন আগেই ছিল। নতুন আইনে বেসরকারি সম্পত্তি নষ্টের বিষয়টিও যুক্ত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সরকারি হোক বা বেসরকারি, আন্দোলনের নামে ধ্বংসাত্মক কাজকর্ম সরকার কখনওই বরদাস্ত করবে না।
আরও পড়ুন-ফেসবুকেও ব্লু ব্যাজ
সংশোধনীতে বলা হয়েছে, এই ধরনের সম্পত্তিহানির ঘটনায় আদালতের নির্দেশক্রমে সরকার ওই ঘটনায় দোষী ব্যক্তির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি আধিকারিকদের দিয়ে ওই সম্পত্তির মূল্য নির্ধারণ করানো হবে। পরে দেওয়ানি আদালতের নির্দেশক্রমে ওই সম্পত্তি নিলামে বিক্রি করে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা সংস্থাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এজন্য একটি পৃথক তহবিল গঠন করার কথাও বলা হয়েছে।
২ মাসের মধ্যে আবেদনের ভিত্তিতে ৬ মাসে নিলামের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। উল্লেখ্য, সম্পত্তি ধ্বংসের পুরনো আইন অনুযায়ী, শাস্তি হিসেবে জেলের সর্বোচ্চ মেয়াদ ছিল ৬ মাস৷ একইসঙ্গে সম্পত্তি ভাঙচুরের অপরাধে জরিমানা নির্ধারণ করত আদালত৷ নয়া আইনে কারাবাসের সময় সর্বনিম্ন ৬ মাস ও সর্বোচ্চ ৭ বছর হতে চলেছে৷ নতুন আইনে জরিমানা নির্ধারণের প্রক্রিয়াও বদলাচ্ছে৷ ধ্বংস হওয়া সম্পত্তির বাজারদরই হবে জরিমানার অঙ্ক৷