সংবাদদাতা, কাটোয়া : হাজারের উপর গান রচনা করেন। নিজের গড়া মন্দিরে সব ধর্মকে সমান অধিকার দিয়েছিলেন। ভক্তের তালিকায় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী থেকে কৃষক-মজুর, মাঝিমাল্লারা। ফি-বোশেখের শেষ সপ্তাহ থেকে ভবার জন্মভিটে বাংলাদেশের আমতায় যেমন পুজোপাঠ, গান, মেলা হয়, তেমনই এই বাংলার কালনার জাপোট-হাঁসপুকুরেও হয় আয়োজন।
আরও পড়ুন-পূর্বমেদিনীপুরে প্রস্তুতি সভা কাটোয়ায় কর্মসূচিতে পরিত্রাতা অভিষেক
ভবার বড় নাতি সঞ্জয় চৌধুরি জানালেন, পুজো দিতে আসা ভক্তদের তিলধারণের ঠাঁই নেই। বাংলাদেশের বহু নাগরিকও রয়েছেন। পুজো দিচ্ছেন হাজার হাজার ভক্তজন। পাশেই সামিয়ানা খাটিয়ে চলছে ভবার লেখা গান গাওয়া। ভক্ত-দর্শকদের খাবার ব্যবস্থা করেছে ভবানী মন্দির পাবলিক ট্রাস্ট। ভিড় সামলাতে, আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে পুলিশ-প্রশাসনের তৎপরতাও চোখে পড়ার মতো। বছরসাতেক আগে ভাগীরথীতে নৌকা উল্টে মারা যান ১৯ জন। তাই সতর্ক পুলিশ-প্রশাসন।
আরও পড়ুন-খুশি তাঁতি, ঢাকিদের পরিবার
কালনার এসডিপিও সপ্তর্ষি ভট্টাচার্য জানান, তিনটি ড্রপ গেট-সহ রাস্তায় নো এন্ট্রি, ফেরিঘাটে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, লাইফ জ্যাকেট বাধ্যতামূলক, স্পিড বোট মজুত রাখা, ভেসেল ও লঞ্চে যাত্রীর সংখ্যা নির্দিষ্ট করা, ২৪ ঘন্টার মেডিক্যাল টিম, মন্দির ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সিসি ক্যামেরা লাগানো, মেডিকেল টিম ও দমকল রাখা হয়েছে।