দেবর্ষি মজুমদার, বোলপুর: যদি পর্বত মহম্মদের নিকট না-ই আসে, তবে মহম্মদকেই পর্বতের নিকট যেতে হবে। এমন প্রবাদ মেনে শিক্ষকেরা গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যদের নিয়ে পড়ুয়াদের বাড়ি যাচ্ছেন। কারণ তারা স্কুলের পথ মাড়াচ্ছে না। পারুলডাঙার বোলপুর শিক্ষানিকেতন আশ্রম বিদ্যালয়ের এই উদ্যোগ নজর কাড়ছে। বহুকাল আগে এমনটা ঘটত। শিক্ষকরা ছাত্রের বাড়িতে গিয়ে অনুপস্থিতির খোঁজ নিতেন। এবার অনিয়মিত ছাত্রছাত্রীদের নিয়মিত স্কুলে আনতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিভাবকদের কাউন্সেলিংয়ের উদ্যোগ নিয়েছেন বোলপুর শিক্ষানিকেতন আশ্রম বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও অন্য শিক্ষকরা।
আরও পড়ুন-পশুপাখি ও প্রকৃতি রক্ষায় সতর্ক নজর
যে ছাত্রছাত্রীরা অনিয়মিত স্কুলে আসে তাদের গ্রাম/পাড়া ও ওয়ার্ড অনুযায়ী এক তালিকা তৈরি করে প্রত্যেকের বাড়িতে গিয়ে অভিভাবক-অভিভাবিকাদের সঙ্গে কথা বলা হয়। প্রধান শিক্ষক প্রশান্তকুমার দাস বলেন, বেশ কিছু ছেলেমেয়ে স্কুলে আসে না। তাই এলাকাভিত্তিক তালিকা বানিয়ে প্রতিটি বাড়িতে যাচ্ছি, অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলছি। কী কী সমস্যা রয়েছে তা যেমন আলোচনা হচ্ছে তেমনই স্কুলে এলে ভবিষ্যতে কত ভাল হবে তাও বোঝানো হচ্ছে। এতে সাড়া পাচ্ছি। ছোট ছোট বাচ্চারা স্কুলে না এলে ভাল লাগে না। সোমবার খোসকদমপুর গ্রামে প্রায় ১৫টি বাড়িতে গিয়েছিলাম। সঙ্গে পঞ্চায়েত সদস্য মাধব মণ্ডলও ছিলেন। মঙ্গলবার একইভাবে দ্বিতীয়ার্ধে কিছু শিক্ষক নিয়ে পারুলডাঙা আদিবাসীগ্রামে আসি। স্কুলে না আসার কারণ পরিষ্কার হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, স্কুল হচ্ছে না বলে পড়ুয়ারা বাড়িতে মিথ্যে বলে মোবাইল গেমে মগ্ন থাকে।