প্রতিবেদন: ছোট্ট ছোট্ট হাত মেখেছে মাটি। খেলারছ্বলে কেউ করল দশভূজার আঙুল। কেউ সিংহের মুখে হাত দিয়ে লাগিয়ে দিল দাঁত। কচি হাতের কাজ যে কাঁচা নয়, তার শংসাপত্র দিলেন প্রতিমা শিল্পীরা। সোমবার দল বেঁধে রাজারহাটের একটি ইংরেজি মাধ্যম প্রাথমিক স্কুলের ১০ ক্ষুদে পড়ুয়া পৌঁছে গিয়েছিল পটুয়াপাড়ায়। ওদের সঙ্গে ছিলেন স্কুলেরই ১৫জন শিক্ষক। মোবাইল, ল্যাপটপে কার্টুন কিংবা গেমে মগ্ন থাকা অঙ্কিত, অলিভিয়াদের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মত। শিল্পী মিন্টু পালের স্টুডিওয় পৌঁছে একবারে কাজ শুরু করে দেয় তারা। শিল্পী অবাক হয়ে পাশে দাঁড়িয়ে দেখেন ওদের উৎসাহ। গুগল ইমেজে নয়, ওরা ছুঁইয়ে দেখছে মাটির প্রতিমা(Idol)। দশ পড়ুয়ার কেউ নার্সারি, কেউ ক্লাস থ্রি। ওই কিছুটা সময় তাদের জীবন থেকে হারিয়ে গিয়েছিল ইন্টারনেট। ওরা ভুলেছিল আধুনিকতা। ক্লাস ওয়ানের অলিভিয়া যখন মা দুর্গার আঙুল তৈরিতে ব্যস্থ তখন শিক্ষিকা গীতাঞ্জলী মুখোপাধ্যায় বললেন, ওদের হাতগুলো জল, মাটি মাখুক এটাই আমরা চাই। আমাদের দুর্গোৎসব ইউনেস্কো স্বীকৃতি পেয়েছে। এই গর্বের বছরে পড়ুয়াদেরও আমরা একটু অন্যরকম পাঠ দিতেই এই ভাবনা। আর শিক্ষকদিবসে সমাজ গড়ার কারিগরদের সহযোগিতায় প্রতিমা (Idol) গড়তে শিখল ক্ষুদে পড়ুয়ারা।
আরও পড়ুন: পাঠক্রমে নীতিশিক্ষা চান মুখ্যমন্ত্রী