দুর্গাপুজোয় ঢাকে কাঠির চেয়ে দিলীপের পিছনেই কাঠি করতে ব্যস্ত শুভেন্দু-সুকান্ত

Must read

প্রতিবেদন : একটি দুর্গা পুজো, আর তাকে কেন্দ্র করে চরম নাটকীয়তা বঙ্গ বিজেপির অন্দরে। বলা ভালো, পুজো নয় মা দুর্গাকে সামনে রেখে রাজনীতিতে মেতেছে গেরুয়া শিবিরের দুই গোষ্ঠীর নেতারা।

সামনে সেই অর্থে রাজ্য দখলের ভোট নেই। তাই বিজেপির দুর্গাপুজোর কোনও জাঁকজমক নেই। তারই মাঝে দুই গোষ্ঠীর ইগোর লড়াইয়ের মাঝে EZCC-তে এবারও দুর্গাপুজোর আয়োজন করেছে বিজেপি। তবে সেই পুজো নমোনমো করে হচ্ছে। প্রথমে ঠিক ছিল গত বছরের মতো কোনও হেভিওয়েট কেন্দ্রীয় নেতাকে সশরীরে হাজির করে উদ্বোধন করানোর। নাম এসেছিল সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। অগত্যা বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পুজোর উদ্বোধন করেন। ছিলেন রাহুল সিনহাও। সদ্য প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বা তাঁর শিবিরের কেউ বিজেপির দুর্গাপূজার ছায়া পর্যন্ত মারাননি। এতেই বঙ্গ বিজেপির আড়াআড়ি বিভাজন স্পষ্ট।

গত বছরও এই পুজো নিয়ে নারাজ ছিলেন দিলীপ ঘোষ। এবারও প্রবল আপত্তি ছিল তাঁর। আর সেই কারণেই যেন দিলীপ ঘোষকে কোণঠাসা করতে আরও তৎপর শুভেন্দু। সুকান্ত মজুমদারকে সামনে রেখে যা তিনি করে দেখানোর চেষ্টা করছেন। দলে টেনে নিয়েছেন রাহুল সিনহাকেও। সব মিলিয়ে EZCC-তে বিজেপির লোক দেখানো দুর্গাপুজো নিয়ে গেরুয়া শিবিরের অন্দরেই হেব্বি কাচ্যাল!

ষষ্ঠীর সকালে মর্নিং ওয়াকে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষ বিজেপির দুর্গাপুজো সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেন। তাঁর কথায়, “পুজো নিয়ে কী ভাবনা, কী আয়োজন তা দলের প্রদেশ সভাপতি ঠিক করবেন। আমি জানি না কারা কারা আসছেন। আমি থাকছি না। যাচ্ছিও না। অমিত মালব্য এখানে রয়েছেন শুনেছি।”

আরও পড়ুন : শিল্পীর প্রয়াণে শোকবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

২০২০ সালে ধুমধাম করে দুর্গাপুজোর আয়োজন করেছিল বিজেপি। কিন্তু এবার আদৌ দুর্গাপুজোর আয়োজন হবে কিনা, তা নিয়ে প্রথমে ধন্ধে ছিল পদ্ম শিবিরের নেতারা। গতবার দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু এবার আগের মতো জাঁকজমক নেই। ষষ্ঠীর দিনেও মণ্ডপ তৈরির কাজ সম্পূর্ণ শেষ হয়নি।

প্রসঙ্গত, দুর্গাপুজো করা নিয়ে প্রথম থেকেই দলে উল্টো অবস্থানে ছিলেন দিলীপ ঘোষ। কয়েক সপ্তাহ আগেই তিনি বলেছিলেন, “আমি গত বছর পুজোয় ছিলাম না। যাঁরা সেই সময়ে পুজো করেছিলেন, তাঁরা হয়তো অনেকেই আজকে দলে নেই। গতবার আমাদের কালচারাল সেক্রেটারি পুজোটা করেছিলেন। জানি না এবার করছেন কিনা। আমি গতবারও বলেছিলাম দলের কাজ পুজো করা নয়। কিছু লোক গতবার করেছিল, এবার তাঁরা কী ভাবছেন, আমি জানি না।”

আরও পড়ুন : ডায়মন্ড হারবারের মানুষকে পুজো উপহার পাঠালেন সাংসদ অভিষেক

এইসব কাণ্ড দেখে দলের একাংশ মজা করে বলছে, মা দুর্গাকে সামনে রেখে পুজোর সময় ঢাকে কাঠি না দিয়ে শুভেন্দু সুকৌশলে নয়া রাজ্য সভাপতি সুকান্তকে দিয়ে দিলীপের পিছনেই কাঠি করতে ব্যস্ত!!!

 

Latest article