নয়াদিল্লি : হীনমন্যতা? তাই কি বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের দেখলেই আলিঙ্গন করতে ঝাঁপিয়ে পড়েন মোদি (PM Nerendra Modi)? প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী এভাবেই তির্যক মন্তব্যে খোঁচা দিলেন প্রধানমন্ত্রীকে। সেইসঙ্গে মনে করিয়ে দিয়েছেন, দেশের কোনও বিশিষ্টজন বা বিজেপির সহকর্মীদের সঙ্গে কিন্তু আলিঙ্গনের উৎসাহ দেখা যায় না মোদির। উল্লেখ্য, মিশর সফরে গিয়ে বিমান থেকে নামার পরেই সেদেশের প্রধানমন্ত্রীকে আলিঙ্গন করতে দেখা যায় মোদিকে। তার আগে মার্কিন সফরেও মোদি জড়িয়ে ধরেছিলেন বাইডেনকে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে বিদেশে সফর বা কূটনৈতিক বৈঠকেও রাষ্ট্রনেতাদের আলিঙ্গন করতে দেখা গিয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। সেদিকে ইঙ্গিত করেই কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা স্বামী। তিনি ট্যুইটে লেখেন, কেন বিদেশের প্রত্যেক রাষ্ট্রপ্রধানকে আলিঙ্গন করেন মোদি (PM Nerendra Modi)? অথচ দলীয় সভাপতি থেকে দলীয় কার্যকর্তা কাউকে কখনও আলিঙ্গন করেন না! এই আচরণ কি মোদির হীনমন্যতার প্রকাশ? এর আগেও অন্যান্য বিদেশি নেতাকে আলিঙ্গন করার জন্য মোদির আচরণ নিয়ে উপহাস ও কটাক্ষ হয়েছে নানা মহলে। তার পরেও বিদেশি নেতাদের আলিঙ্গনের অভ্যাস থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারেননি মোদি। বিরোধীদের পর এবার নিজের দলের নেতারও কটাক্ষের মুখে পড়লেন প্রধানমন্ত্রী। এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এবার সরাসরি মিথ্যাবাদী বলে নিশানা করলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া। বিজেপিকে আক্রমণ করে সিদ্দারামাইয়া বলেন, মোদি সরকারের কাজকর্মে সংবিধান এবং দেশের গণতন্ত্র হুমকির মুখে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করে সিদ্দারামাইয়া বলেন, আমার ৪০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে আমি মোদির মতো মিথ্যা কথা বলে এমন একজনও প্রধানমন্ত্রী দেখিনি। ২০১৪ সালে, তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, জনগণের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ টাকা দেবেন। দুই কোটি চাকরি দেবেন। আচ্ছে দিন আনার কথাও বলেছিলেন। কিন্তু আচ্ছে দিন কোথায় গেল? কবে জমা পড়বে ১৫ লাখ টাকা?
আরও পড়ুন- ভারতের বৃহত্তম করফাঁকির অভিযোগ শ্রী সিমেন্টের বিরুদ্ধে