ভারতের বিখ্যাত ডিফেন্ডারের (defender) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে গেল ১৭ লক্ষ টাকা। পার্ক স্ট্রিটে স্টেট ব্যাঙ্ক (Park street state bank) শাখার অ্যাকাউন্ট থেকে ওই টাকা উধাও হয়েছে। সুব্রতর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকেই উধাও হয়ে গেল লক্ষাধিক টাকা কিন্তু তিনি সেটা বুঝতেই পারেননি। স্মার্ট ফোনে একেবারেই অভ্যস্ত নন। তাই সাধারণ ফোন ব্যবহার করেন সুব্রত ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, তিনি কারও সঙ্গে এটিএম পিন কিংবা ওটিপিও শেয়ার করেননি কখনও। তাহলে কী ভাবে এতগুলো টাকা উধাও হয়ে গেল, সেই বিষয়ে রীতিমতো দুশ্চিন্তায় সকলে।
আরও পড়ুন-A=B=C মানে A=C, সহজ সমীকরণ বুঝিয়ে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
গল্ফগ্রিন থানায় এই নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন সুব্রত ভট্টাচার্য। এক মাসেরও আগে ঘটনাটি জানতে পারেন তিনি। স্টেট ব্যাঙ্কের পার্ক স্ট্রিট শাখা থেকে টাকা তুলতে গিয়ে তিনি এই বিষয়ে অবগত হন। সুব্রত জানান, ‘আমি তো স্মার্ট ফোন ব্যবহার করি না। সাধারণ ফোনেই বরাবর অভ্যস্ত। তার মানে এই নয় যে, এটিএম পিন কিংবা ওটিপি কাউকে দিয়েছি। তাও কি ভাবে এতগুলো টাকা উধাও হয়ে গেল, বুঝতেই পারছি না।’ চাকরি ও কোচিং মিলিয়ে টাকা জমানো ছিল তার। তিনি বলেন, ‘সারাজীবনের সঞ্চয় ছিল। সব টাকা কে বা কারা যে তুলে নিল!’
আরও পড়ুন-রামধনু জোটকে খোঁচা দিয়ে অভিষেক জানালেন, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই চালাবে বায়রন
সুব্রত ভট্টাচার্যের স্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন এটিএম থেকে সাড়ে ৯ হাজার টাকা করে তোলা হয়েছে নানা সময়। এটা একদিনে হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে হয়ে এসেছে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল, এটা আমরা জানতেই পারিনি। আমার স্বামীর ফোনে সব সময় মেসেজও আসত না। আর ও স্মার্ট ফোন ব্যবহার না করায় জানতেও পারেনি। ২৩ তারিখ পার্ক স্ট্রিটের এক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে দু’বার করে সাড়ে ৯ হাজার টাকা তোলা হয়েছে। এরপর বাগবাজারের একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ফের সাড়ে ৯ হাজার টাকা তুলেছে। কিভাবে এটিএম কার্ডের পিন জানতে পারল, সেটাই তো বুঝতে পারছি না। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এখন মাত্র ২২৩ টাকা পড়ে রয়েছে।’
আরও পড়ুন-বাংলার সমস্ত প্রকল্পে চলবে কেন্দ্রীয়ভাবে নজরদারি, চালু হচ্ছে পোর্টাল
তবে থানায় ডায়েরি করা হলেও কোনও সুরাহা হয়নি সেই কথা স্পষ্ট জানান তারা।