প্রতিবেদন : মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ফাইনালে নামার আগে বেঙ্গালুরু এফসি দলের সঙ্গে গোপন ডেরায় প্রস্তুতি সারেন সুনীল ছেত্রী। ৩৮-এর সুনীল নিয়মিত প্রথম একাদশে থাকছেন না। তবে কোচ সাইমন গ্রেসনের পরিকল্পনায় খুব ভালভাবেই আছেন সুনীল।
ফাইনালের আগে তাঁকে নিয়ে চর্চা রয়েছে বাংলাতেও। সুব্রত ভট্টাচার্যের কোচিংয়েই মোহনবাগানে প্রথম খেলেন সুনীল। সেই সুব্রতই পরবর্তীকালে সুনীলের শ্বশুরমশাই। ময়দানের ‘বাবলু’ শনিবারের ফাইনালের আগে ধর্মসঙ্কটে পড়ে গিয়েছেন। কোন দলকে সমর্থন করবেন? একদিকে মোহনবাগান ক্লাব, অন্যদিকে তাঁর প্রথম ছাত্র এবং জামাই সুনীল।
আরও পড়ুন-মাণ্ডবীর তীরে আজ ট্রফির হাতছানি, অন্য ডার্বি প্রীতমদের কাছে, ফুটছে বেঙ্গালুরুও
ফাইনালের আগে সুনীলের কাছে এই প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘‘স্ত্রী সোনম প্রথম দিন থেকেই আমার পাশে। যে ক্লাবেই আমি খেলি, স্ত্রীর সমর্থন পাব। তবে সুব্রত ভট্টাচার্য কিংবদন্তি। ওঁর পক্ষে মোহনবাগানকে দূরে রাখা সম্ভব নয়।’’
সুব্রতর স্ত্রী সুনীলের শাশুড়ি লতাদেবীও গোয়ায় গিয়েছেন বেঙ্গালুরুকে সমর্থন করতে। তবে ফোনে সুব্রত স্বীকার করে নিলেন তিনি ধর্মসঙ্কটে পড়েছেন। বললেন, ‘‘সুনীল আমার কাছে শুধু জামাই নয়, আমার সেরা ছাত্রদের একজন। মোহনবাগানে আমি ১৬ বছর খেলেছি। দুই পর্বে কোচিং করিয়েছি সাত-আট বছর। তাই কাউকেই আমি অগ্রাহ্য করতে পারব না। যে ভাল খেলবে জিতবে। সেটাই মেনে নেব।’’