প্রতিবেদনঃ ৩৪ বছর পরে সিপিএমকে যদি বাংলার বুক থেকে শূন্য করে দিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা হলে অনায়াসেই দিল্লি থেকেও তিনি শূন্য করে দিতে পারেন বিজেপিকে। এই চরম সত্যটা মনপ্রাণ দিয়ে উপলব্ধি করতে হবে দেশের সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে হটাতে গেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই নেত্রী হিসেবে মেনে নিতে হবে সকলকে। বৃহস্পতিবার ধর্মতলার সমাবেশে সুস্পষ্টভাবে এই বার্তা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Banerjee)। ১৯৯৩ জুলাই ২১ জুলাই আন্দোলন দমনের নামে সিপিএমের সেই নৃশংস আচরণের কথা মনে করিয়ে দিতে গিয়ে রীতিমতো আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Banerjee)। তাঁর কথায়, সেদিন পুলিশের গুলিতে নিহত যুবকর্মীদের আত্মা আজ শান্তি পাচ্ছেন সিপিএম সমূলে উৎপাটিত হয়েছে দেখে। সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভাও আজ সিপিএম শূন্য। লোকসভাতেও বাংলার কোনও প্রতিনিধি নেই সিপিএমের। এবারে শূন্য হওয়ার পালা বিজেপির। এরপরেই বিজেপির প্রতি তীব্র আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন সুদীপ। বলেন, আজ তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ স্মরণ দিবসের এমন বিশাল সমাবেশের দিক থেকে দেশের মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে গেরুয়া শিবির। সোনিয়া গান্ধিকে ডেকে পাঠানো হয়েছে ইডিকে দিয়ে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ফলপ্রকাশ আজই। উলুবেড়িয়ার আজই ডাক দেওয়া হয়েছিল সভার। তাঁর মন্তব্য, যতসব উন্মাদের কাণ্ড। নোটবন্দি থেকে শুরু করে জিএসটি, চিনা অনুপ্রবেশ, কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার, পেট্রোপণ্যের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি- নরেন্দ্র মোদীর একের পর এক ভুল চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সারা দেশের মতোই কাশ্মীরের মানুষের চোখেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কতটা শ্রদ্ধার মানুষ, কতটা আস্থাভাজন নেত্রী তা একটি উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দেন সুদীপ। সেখানকার মানুষের ভাষায়,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার শেরনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই তাই দেশের মানুষের কাছে সবচেয়ে আস্থাভাজন নেত্রী। তাঁর হাতেই সবচেয়ে নিরাপদ দেশের ভবিষ্যৎ। বুঝিয়ে দিলেন লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেতা।
আরও পড়ুন-উন্নয়নের পাশাপাশি রাজ্যে বিপুল কর্মসংস্থান, তালিকা তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী