নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি : সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদজ্ঞাপন প্রস্তাবে দেশের জ্বলন্ত ইস্যুগুলোকে নিয়ে সোচ্চার হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার প্রবীণ সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। রাজ্যগুলির বিরুদ্ধে এজেন্সির অপব্যবহার থেকে কর্মসংস্থান, অর্থনীতির নিম্নগতি থেকে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো লঙ্ঘন, দেশের জ্বলন্ত সমস্যাগুলি নিয়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ।
কংগ্রেসের তরফেও এদিন রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখেন বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। কেন্দ্রের বাজেটকে অন্তঃসারশূন্য, একপেশে ও পুঁজিপতিদের বাজেট বলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধী দল।
আরও পড়ুন-দেশে চিনা পণ্য বয়কট? বাস্তব বলছে অন্য কথা
তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা মুখ্যসচেতক সুখেন্দুশেখর রায় তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই হিন্দি গজলের উল্লেখ করে বলেন, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ভাষণ ছিল আগাগোড়াই কুয়াশাচ্ছন্ন অর্থাৎ অস্পষ্ট। তথ্য ও পরিসংখ্যান তুলে ধরে তৃণমূল সাংসদ বলেন, ক্ষমতায় আসার পর সরকার যে সমস্ত প্রতিশ্রতি দিয়েছিল, তা কিছুই রক্ষা করতে পারেনি। ক্ষমতায় এসে বছরে ২ কোটি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতির কী হল, রাজ্যসভায় সে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
কালো টাকা প্রসঙ্গে বলেন, সরকার যদি আদৌ আন্তরিক হয় তাহলে প্রয়াত অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মতো কালো টাকা নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক। মোদি সরকারের স্বৈরাচারী মনোভাব তুলে ধরে তৃণমূল সাংসদ বলেন, বিএসফের এক্তিয়ার বৃদ্ধি, আইএএস ক্যাডার বিধি সংশোধন, বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলির সাংবিধানিক প্রধানদের কাজে লাগিয়ে মোদি সরকার যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় আঘাত করতে চাইছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও জাতীয় সমীক্ষা রিপোর্ট তুলে ধরে দেশে বাড়তে থাকা বৈষম্য নিয়ে সরব হন তৃণমূল সাংসদ।