প্রতিবেদন : আর দেরি করা চলবে না। অবিলম্বে জমা দিতে হবে মুখ্যমন্ত্রীর বিমান বিভ্রাটের রিপোর্ট। সোমবার স্পষ্টভাবে এ কথা জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হলফনামা আকারে রিপোর্ট জমা দিতে হবে সিল করা কভারে। এদিন একটি গোয়েন্দা রিপোর্ট অবশ্য জমা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু জমা পড়েনি ঘটনার ভিডিওগ্রাফি। নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও এর আগে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কেন পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়নি এদিন সেই প্রশ্ন ওঠে আদালতে।
আরও পড়ুন-জুনে জিএসটি বকেয়া ১৬৩৭ কোটি, কেন্দ্রের কাছে বাংলার প্রাপ্য
লক্ষণীয়, সবমিলিয়ে মোট দু’বার মাঝ আকাশে বিভ্রাটের মুখোমুখি হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর বিমান। প্রথমবার ২০১৬তে পাটনা থেকে ফেরার পথে এবং দ্বিতীয়বার চলতি বছরেই ৪ মার্চ। লখনউ থেকে ফেরার সময় মাঝ আকাশে ঘটে বিপত্তি। বারাণসীতে সমাজবাদী পার্টির হয়ে প্রচারে গিয়েছিলেন তিনি। ফেরার সময়ই এই ঘটনা। মাঝ আকাশে আচমকাই প্রায় ১০০ মিটার নেমে যায় মুখ্যমন্ত্রীর বিমান। ঝাঁকুনিতে কোমরে চোট পান তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, আবহাওয়া খারাপ ছিল না তখন। ফলে আবহাওয়ার কারণে এমন বিপত্তির কোনও সম্ভাবনা নেই। উল্টোদিক থেকে বিমান এসে যাওয়ার ফলেই এই ঘটনা ঘটেছিল সেদিন। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, তাঁর বিমান আসার কথা থাকলেও কেন উড়ান-পথ ফাঁকা ছিল না?
আরও পড়ুন-সংসদে এবার একগুচ্ছ বিল
হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল এমন বেশ কয়েকটি প্রশ্নকে সামনে রেখেই। কিন্তু সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, আদালতের নির্দেশমতো মামলাকারী ঘটনাটি বিস্তারিতভাবে জানিয়ে হলফনামা পেশ করলেও কোনও জবাবি হলফনামা এখনও পেশ করেনি কেন্দ্র। নিম্ন আদালতে দায়ের করা প্রথম মামলাতেও কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আদৌ হলফনামা পেশ করা হয়েছিল কি না, প্রশ্ন উঠেছিল তা নিয়েও। ২০১৬ তে পাটনা থেকে ফেরার সময় মুখ্যমন্ত্রীর বিমান যে বিপত্তির মুখোমুখি হয়েছিল, নিম্ন আদালতে মামলা হয়েছিল তা নিয়েও। জানা গিয়েছে, সেই ঘটনার রিপোর্টও এখনও পর্যন্ত আদালতে পেশ করেনি কেন্দ্র। তাই এবারে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের স্পষ্ট নির্দেশ, ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করতেই হবে কেন্দ্রকে।