প্রতিবেদন : বহু দিন ধরেই সমলিঙ্গের বিবাহের দাবি জানিয়ে আসছেন এদেশের বহু মানুষ। ভারতে সমলিঙ্গের বিবাহ এখনও স্বীকৃত নয়। প্রশ্ন হল, এবার কি সমলিঙ্গের বিবাহের আইনি স্বীকৃতি মিলবে? কারণ সমলিঙ্গ বিবাহের আইনি বৈধতার আর্জি বিবেচনা করে দেখা হবে বলে শুক্রবার জানিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
আরও পড়ুন-মেসিদের আজ মরণ-বাঁচন ম্যাচ
দেশের শীর্ষ আদালতের এই মন্তব্যে এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের মানুষরা আশার আলো দেখছেন। এ প্রসঙ্গে শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এ বিষয়ে কেন্দ্রের কাছ থেকে জবাব চেয়ে পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারকে জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে একাধিকবার এই ধরনের মামলায় নরেন্দ্র মোদি সরকার জানিয়েছে, তাঁরা এই ধরনের বিয়ের বিরুদ্ধে। তাই মতামত জানানোর প্রয়োজনবোধ করেন না তাঁরা। কারণ এই ধরনের বিয়ে ভারতীয় সমাজব্যবস্থার বিরোধী। এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া হলে দেশের তরুণ, মহিলা ও কিশোর প্রজন্মের ওপর খারাপ প্রভাব পড়বে। এখানেই প্রশ্ন উঠেছে সুপ্রিম কোর্টও কি কেন্দ্রের এই মতের শরিক, নাকি আদালত অন্য কথা ভাবছে!
আরও পড়ুন-আজ ওগবেচেই কাঁটা মোহনবাগানের, জয়ের খোঁজে জামশেদপুর গেল ইস্টবেঙ্গল
স্পেশাল ম্যারেজ আইনের আওতায় সমলিঙ্গের বিবাহের আইনি স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন সুপ্রিয় চক্রবর্তী এবং অভয় ঢ্যাং নামে এক সমপ্রেমী যুগল। ১০ বছর ধরে তাঁরা লিভ ইন করছেন হায়দরাবাদে। নিজেদের বিয়েটা তাঁরা অনেক আগেই সেরে ফেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সমপ্রেম বিয়ের আইনি স্বীকৃতি নেই বলেই তাঁরা বিয়ে করতে পারছেন না। সমপ্রেম বিয়ের আইনি স্বীকৃতি কেন নেই? কেনই বা তা পাওয়া যাবে না? এই প্রশ্নের উত্তর চেয়েই তাঁরা মামলা দায়ের করেছেন সর্বোচ্চ আদালতে।