প্রতিবেদন : বিবাহবিচ্ছেদের (Divorce- Supreme Court) জন্য আর বাধ্যতামূলকভাবে ছ’মাস অপেক্ষা করতে হবে না। কারণ সুপ্রিম কোর্ট বাধ্যতামূলক অপেক্ষা করার এই আইনটি বাতিল করে দিয়েছে। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের ৫ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়েছে, যে সম্পর্ক টেকার নয় অর্থাৎ বিচ্ছেদ অবশ্যম্ভাবী সেখানে ছ’মাস অপেক্ষা করার কোনও কারণ থাকতে পারে না। বেঞ্চ বলেছে, শর্তসাপেক্ষে দু’পক্ষের সম্মতিতে ৬ মাস বাধ্যতামূলকভাবে অপেক্ষা না করেই বৈবাহিক সম্পর্ক ভেঙে দেওয়া যেতে পারে।
শীর্ষ আদালত এদিন সংবিধানের ১৪২ নম্বর অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করে এই রায় দিয়েছে। ওই ধারায় বলা আছে, শীর্ষ আদালত (Divorce- Supreme Court) বিচারাধীন কোনও মামলায় মনে করলে চলতি আইনের বিধান বদল, বাতিল বা সংশোধন করতে পারে। হিন্দু বিবাহ আইনের ১৩বি ধারাটি পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে সাংবিধানিক বেঞ্চে এই মামলা দায়ের হয়েছিল। ওই ধারায় বলা আছে, ডিভোর্সের নোটিশ দেওয়ার দিন থেকে বাধ্যতামূলকভাবে ছ’মাস অপেক্ষা করতে হবে। অর্থাৎ ওই সময়ের মধ্যে ডিভোর্সের বিষয়ে আদালতও কোনওরকম হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।
আরও পড়ুন- কর্নাটকে বিজেপির ইস্তাহারে বিভাজন-মেরুকরণের তাস
বিচারপতি সঞ্জয় কিসান কাউল, এ এস ওকা, সঞ্জীব খান্না, জে কে মহেশ্বরী এবং বিক্রম নাথের সাংবিধানিক বেঞ্চ এদিন বলেছে, কোন কোন ক্ষেত্রে বিচ্ছেদ অবশ্যম্ভব বলে বিবেচিত হবে, আদালত ইতিমধ্যেই তা চিহ্নিত করেছে। পূর্ণাঙ্গ রায়ে সে বিষয়গুলি উল্লেখ থাকবে। তবে বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে আদালত সাধারণভাবে তিনটি বিষয়ে অবশ্যই গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবে। এই তিনটি বিষয় হল ভরণপোষণ রক্ষণাবেক্ষণ এবং সন্তানদের অধিকার।
শীর্ষ আদালতের এদিনের নির্দেশের ফলে অনেকেই মনে করছেন, দেশের বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা আরও বাড়বে। তবে পারিবারিক আদালতগুলিতে বিচ্ছেদ মামলার বোঝা কমতে পারে।