নয়াদিল্লি : রাজ্য মন্ত্রিসভা যখন বিধানসভা অধিবেশন ডাকতে বলছে, তখন রাজ্যপালের তা করা উচিত। পাশাপাশি, রাজ্যপাল (Governor) কোনও ব্যাখ্যা চাইলে তার জবাব দিতে মুখ্যমন্ত্রী বাধ্য। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) পাঞ্জাব সরকার (Punjab Government) বনাম রাজ্যপাল মামলার শুনানি চলাকালীন একথা বলেছেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।
পাঞ্জাবের (Punjab) রাজ্যপাল বি এল পুরোহিতের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্যের আম আদমি পার্টি সরকার (AAP)। মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান নেতৃত্বাধীন সরকার বিধানসভার বাজেট অধিবেশন ডাকার অনুরোধ করেছিল রাজ্যপালের কাছে। তিনি সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করায় রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পি এস নরসিমহার বেঞ্চে বিষয়টির শুনানি হয়। প্রধান বিচারপতি বলেছেন, মন্ত্রিসভা যখন বিধানসভা অধিবেশন ডাকতে বলছে, তখন রাজ্যপালের তা করা উচিত। এ বিষয়ে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, রাজ্যপাল অধিবেশন ডাকতে অস্বীকার করেননি। তিনি আইনি পরামর্শ নিচ্ছিলেন। রাজ্যপাল তাঁর চিঠিতে কোনও অবমাননাকর ভাষা ব্যবহার করেননি।
আরও পড়ুন: ভাবমূর্তি রক্ষায় দুই মন্ত্রীর পদত্যাগ, সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা সিসোদিয়ার
এদিকে এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলে। শীর্ষ আদালত বলেছে, মুখ্যমন্ত্রীর ট্যুইট এবং চিঠির সুর এবং মনোভাব অবাঞ্ছিত। আলোচনার প্রেক্ষাপটে সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে কাজ করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্তদের পরিপক্কতার বোধ থাকতে হবে। আদালত বলেছে, গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে রাজনৈতিক মতপার্থক্য গ্রহণযোগ্য। কিন্তু তা নিম্নগামী না করে একটি পরিপক্ক পদ্ধতিতে সমাধান করা উচিত। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেন, রাজ্যপাল মন্ত্রিসভার পরামর্শ অনুসরণ করেন, তবে তিনি প্রথমে মন্ত্রিসভার পরামর্শ উপেক্ষা করেছিলেন। এখন তিনি বলছেন, ৩ মার্চ থেকে অধিবেশন ডাকা হবে। রাজ্যপালের উচিত সংবিধান অনুযায়ী কাজ করা। নির্বাচিত রাজ্য সরকারকে উপেক্ষা করা কোনও রাজ্যপালের কাছ থেকে প্রত্যাশিত ভূমিকা হতে পারে না৷