প্রতিবেদন : করোনা অতিমারি পেরিয়ে ফের এবার সাধারণতন্ত্র দিবসের বর্ণময় কুচকাওয়াজের সাক্ষী হল শহর কলকাতা। বৃহস্পতিবার চড়া রোদের তেজ উপেক্ষা করেই কলকাতার পাশাপশি জেলা থেকেও মানুষ সকাল থেকেই ভিড় জমিয়েছিলেন রেড রোডে। শুরুতেই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসের মূর্তিতে মাল্যদান করেন মুখ্যমন্ত্রী। বেলা সাড়ে দশটায় রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে কুচকাওয়াজের সূচনা হয়।
আরও পড়ুন-‘শোলে টু’ আসছে, ধোনির সঙ্গে ছবি পোস্ট করে ঘোষণা হার্দিকের
এরপরে একে একে পিনাক, স্মার্চ, ইউ এল এইচ, এল-৭০ সমরাস্ত্রের প্রদর্শনী ও সেনাবাহিনীর বিভিন্ন রেজিমেন্টের সুশৃঙ্খল কুচকাওয়াজের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান এগিয়ে চলে। কুচকাওয়াজে অংশ নিয়েছে কলকাতা পুলিশের উইনার্স বাহিনীও। সেফ ড্রাইভ সেফ লাইফ, বেঙ্গল আর্চারি অ্যাকাডেমি ও ইউনেস্কোর স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বাংলার দুর্গোৎসবের ওপর তৈরি তিনটি ট্যাবলো কুচকাওয়াজে অংশ নেয়। কলকাতার মর্ডান স্কুল, সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের পাশাপাশি ডায়মন্ড হারবার হাইস্কুল, বর্ধমান গভঃ মডেল মাদ্রাসা, আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। সবশেষে ছিল রাজ্যের বিভিন্ন আঞ্চলিক লোকনৃত্য অনুষ্ঠান।
আরও পড়ুন-মহিলা আইপিএল-প্রকল্প আমার মেয়াদেই: সৌরভ
রাজ্য সরকারের লোকপ্রসার প্রকল্পের শিল্পীরা দার্জিলিং-এর মারুনিনৃত্য, কোচবিহারের বৈরাগীনৃত্য, জঙ্গলমহলের আদিবাসী নৃত্য, ছৌনাচ ও বাউলগান পরিবেশন করেন। করোনার জন্য গত কয়েক বছর এই অনুষ্ঠানের আয়োজনে ভাটা পড়েছিল। এবারের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন বিদেশি অতিথিরাও। নাশকতার সম্ভাবনা রুখতে বিশেষ সতর্ক ছিল লালবাজার। তার উপর এ-বছর সাধারণতন্ত্র দিবসের দিনই সরস্বতীপুজো পড়েছে। তাই রাস্তায় ভিড় সকাল থেকেই উপচে পড়েছে। কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য মঙ্গলবার থেকে হোটেল, শপিং মল, পার্ক, দ্রষ্টব্য স্থানগুলিতে কড়া নজরদারি শুরু করে পুলিশ। শহরের গুরুত্বপূর্ণ ৫০টি পয়েন্টে নাকা চেকিং চলেছে দিনভর। রেড রোডের নিরাপত্তাতেও ছিল বিশেষ জোর। মোতায়েন ছিলেন ৩ হাজার পুলিশ। ২০ জন ডিসি পদমর্যাদার আধিকারিক, ৪৫ জন এসি, ১৪৮ জন ইন্সপেক্টর, ৩১২ জন সাব-ইন্সপেক্টর ও ৩৪০ জন এএসআই কুচকাওয়াজের অনুষ্ঠানে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। সব মিলিয়ে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা।