পাগড়ির অপমান শিখ (Shikh) সম্প্রদায় কখনই বরদাস্ত করবে না। শুভেন্দু অধিকারী-সহ দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ পদক্ষেপ করতে হবে। বৃহস্পতিবার, রাজভবনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের দেখা করে এই দাবি জানালেন কলকাতার ৫টি গুরুদ্বারার প্রতিনিধিরা। রাজ্যপালের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ বৈঠকের পর বেরিয়ে এই কথা জানান তাঁরা। এই বিষয়ে রাজ্যবালের কাছে একটি স্মারকলিপিও জমা দেন তাঁরা।
মঙ্গলবার, সন্দেশখালি যাওয়ার পথে বাধা পেয়ে মাথায় পাগড়ি বাঁধা আইপিএস অফিসারকে খালিস্তানি বলে দাগিয়ে দেন বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপি নেতারা। এর বিরুদ্ধে গর্জ ওঠে শিখ সম্প্রদায়। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিক বৈঠক করে এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার জানান, এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন তাঁরা। ওই দিন থেকেই বিজেপি সদর কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন শিখ (Shikh) সম্প্রদায়ের মানুষ। এদিন, রাজভবনে গিয়ে আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করে গুরমীত সিং-সহ শিখ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন- লুক আউট নোটিস জারি বাইজুস প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে, দেনায় ডুবে সংস্থা
বৈঠক সেরে বেরিয়ে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে, তাঁরা জানান, আগে পাগড়ি শুধু রাজা-মহারাজারাই পরতেন। শিখদের দশম গুরু গোবিন্দ সিং তাঁদের এই পাগড়ি বাঁধার অধিকার দেন। পাগড়ির অপমান শিখ সম্প্রদায় কখন বরদাস্ত করবে না। যেভাবে শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপি বিধায়করা একজন পাগড়ি বাঁধা শিখ সম্প্রদায়ের পুলিশ অফিসারকে অপমান করেছেন, তীব্র প্রতিবাদ ককেন। রাজ্যপালের কাছে শিখ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের দাবি, দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।
রাজ্যপাল এই ঘটনার নিন্দা করেন। জানান, আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। তিনি এই বিষয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি পাঠাবেন। একই সঙ্গে শিখেদের সম্পর্কে তিনি কী ভাবেন, তা নিজের লেটারপ্যাডে সই করে লিখে দিয়েছেন আনন্দ বোস। সেখানে রবীন্দ্রনাথের কবিতার পংক্তি উল্লেখ করে তিনি লেখেন, দেশের উন্নয়নে শিখদের অবদান রয়েছে। সীমান্তে প্রহরা দেন তাঁরা। তাঁরা আমাদের অন্নদাতা। ভগৎ সিংয়ের কথা উল্লেখ করে রাজ্যভবনে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গাছ লাগানোর কথাও জানান রাজ্যপাল। তবে, শুভেন্দু-সহ দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত তাঁরা বিজেপির সদর দফতর মুরলীধর সেন লেনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন চালিয়ে যাবেন বলেও জানান প্রতিনিধিরা।