কাবুল : পিছনে পাকিস্তানের মদত। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেল তালিবান। আফগানিস্তানে সরকার গঠনের ঠিক আগেই তালিবান মুখপাত্র সোহেল শাহিন কাতারের অফিসে সংবাদমাধ্যমকে একটি সাক্ষাৎকার দেন। সেখানেই তাঁর মত, কাশ্মীরের মুসলিমদের হয়েও কথা বলার অধিকার নাকি তাঁদের আছে। তবে শুধু ভারত নয়, বিভিন্ন দেশের মুসলিমদের ব্যাপারে তাঁরা কথা বলতে আগ্রহী। কূটনৈতিক মহল মনে করছে, আসলে মুসলিমদের নিজেদের অনুকূলে আনতেই তালিবান এই ধরনের কথাবার্তা বলেছে। সোহেলের এই মন্তব্যে নিশ্চিতভাবেই বেকায়দায় কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার।
আরও পড়ুন :ডিজিটালি বিজেপিকে টেক্কা দিতে ‘কু-অ্যাপে’ অ্যাকাউন্ট খুলল তৃণমূল কংগ্রেস
তালিবান মুখপাত্র দোহায় বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, আমরা মুসলিম, সেই অধিকারেই আমরা কাশ্মীরে মুসলিমদের নিয়েও ভাবনাচিন্তা করতে বা তাদের হয়ে কথা বলতে পারি। কাশ্মীরের অধিকার নিয়েও আমরা কথা বলব। আমরা এটা বোঝাতে চাই যে, তালিবান বিশ্বের সব মুসলিমদের পাশে আছে। সকলের জন্য একই নিয়ম প্রযোজ্য। তালিবান মুখপাত্র যখন এই কথা বলছেন, তখন প্রত্যাশিতভাবেই তাঁকে সম্পূর্ণ সমর্থন করছে পাকিস্তানের শাসক দল তেহরিক-ই-ইনসাফ। ইমরান খানের দলের এক মুখপাত্র টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, তালিবানরা কাশ্মীরকে মুক্ত করার জন্য কাজ করবে। সে কারণেই তারা কাশ্মীরের মুসলিম সম্প্রদায়ের হয়ে কথা বলতে চায়। কাশ্মীরের মানুষের স্বাধীন হওয়া দরকার।
ঘটনা হল, মাত্র একদিন আগেই তালিবানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, কাশ্মীর হল ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয়। তাই কাশ্মীর নিয়ে তারা মাথা ঘামাবে না। কিন্তু সরকার গঠনের মুহূর্তেই ডিগবাজি। আন্তর্জাতিক সমীকরণের কথা মাথায় রেখেই তারা কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্য করেছে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
অন্যদিকে তালিবান মুখপাত্রের ওই মন্তব্য ও পাকিস্তানের শাসক দলের নেতার বক্তব্য নিয়ে গভীর উদ্বেগে পড়েছে ভারত। দেশের গোয়েন্দা দফতর এক রিপোর্টে জানিয়েছে, তালিবান আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসার পর কাশ্মীরে জঙ্গিরা আরও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। শুধু কাশ্মীর নয়, দেশের যে কোনও প্রান্তে নাশকতা চালাতে চেষ্টা করবে জঙ্গিরা। গোয়েন্দা দফতরের ওই রিপোর্ট পাওয়ার পর ভারত-পাক সীমান্তে সতর্কতা আরও বাড়ানো হয়েছে। সেনাবাহিনীকে সতর্ক করার পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে সেনার সংখ্যা ও নজরদারি।