সিটের তদন্তেই হাঁটছে সিবিআই

Must read

সংবাদদাতা, পুরুলিয়া : ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু (Tapan Kandu Murder Case) খুনের ঘটনায় পুলিশ যে তথ্য পেয়েছিল, সেই তথ্যেই কি সিলমোহর দিতে চলেছে সিবিআই! এমন প্রশ্ন এখন উঠছে ঝালদায়। এই খুনের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে মঙ্গলবার রাতেই ঝালদার এক ধাবার মালিককে আটক করেছিল সিবিআই। বুধবার তাকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের নাম সত্যবান প্রামাণিক। বাড়ি ঝালদা থানারই হেঁসাহাতু গ্রামে। ঝালদা শহরে হাটতলায় তার একটি ধাবা আছে। তিনি পুলিশের হাতে ধৃত নরেন কান্দুর ঘনিষ্ঠ। ঝালদাকাণ্ডে এই প্রথম গ্রেফতার ঘটল সিবিআইয়ের হাতে। এদিনই ধৃতকে পুরুলিয়া জেলা আদালতে তোলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাটি। ধৃতকে চার দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার সারাদিনই ঝালদায় তৎপর ছিল সিবিআই। এদিন সত্যবানকে ডেকে পাঠিয়ে জেরা করার পাশাপাশি ডেকে পাঠিয়ে কথা বলা হয় ঝালদার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সুব্রত দেবের সঙ্গেও। একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, সিবিআই আধিকারিকরা রাতে ঝাড়খণ্ডের একাধিক থানা এলাকায় যান কলেবর সিংকে সঙ্গে নিয়ে। এই কলেবরকেও পুলিশ সুপারি কিলার হিসাবে গ্রেফতার করেছিল। ঝালদার বীরসা মোড় এলাকার একটি সিসিটিভি ফুটেজ থেকে সিবিআই দেখেছে, ওই ব্যক্তি এক সঙ্গীকে নিয়ে বাইকে চেপে কোথাও যাচ্ছে। সেই সঙ্গীর অবশ্য এখনও হদিশ মেলেনি। ধৃত সত্যবান প্রামাণিকের সঙ্গে নরেন কান্দুর গভীর সম্পর্ক রয়েছে বলে একটি সূত্রের খবর। তার ধাবাতে বসেই খুনের ষড়যন্ত্র এবং হত্যার ব্লু প্রিন্ট রচনা করা হয়েছিল। এখান থেকেই যাবতীয় অপারেশন চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা।

আরও পড়ুন-বন্যপ্রাণ বাঁচাতে আদিবাসী শিকারিদের রুখল প্রশাসন

এদিকে কাউন্সিলার (Tapan Kandu Murder Case) খুনে মিডলম্যান হিসাবে পুলিশ যাকে গ্রেফতার করেছিল, সেই আসিফ খানের গ্রামের বাড়িতেও বুধবার যান গোয়েন্দারা। ধৃতের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে গোয়েন্দারা ধৃতকে সঙ্গে নিয়ে যান ঝাড়খণ্ডের তার মেয়ের বাড়িতে। সেখান থেকে মিলেছে বেশ কিছু টাকা। এদিন তৃণমূলের ঝালদা শহর সভাপতি দেবাশিস সেন বলেন, ‘‘ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির যে কোনও সম্পর্ক নেই সিবিআইও তা বুঝতে পারছে।’’

Latest article