অনুরাধা রায়: আম ফুচকা, আমের চপ, দই কিংবা ফিরনি। তালিকায় আছে নানারকম আমের মিষ্টি, সঙ্গে কুলপিও। পরপর সাজানো। জিভে জল আনা সব আমের পদ দেখে প্রথমেই হাত যাবে পকেটে। রেস্তো কত আছে। এখানেই বলি ‘সুধী সুখবর’। যত ইচ্ছে তত খান, যা ইচ্ছে তাই চেখে দেখুন। লাগবে না একটি কড়িও। সৌজন্যে আমহার্স্ট স্ট্রিট আম উৎসব। ১৪ মে শনিবার। সময় সন্ধে ৬টা থেকে রাত ১১টা। স্থান আমহার্স্ট স্ট্রিট পোস্ট অফিস এবং ডাঃ কার্তিক বোস স্ট্রিটের সংযোগস্থল। উৎসবের উদ্বোধন করবেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। থাকবেন অন্যান্য বিশিষ্টরাও। আম উৎসবের উদ্যোক্তা ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সোমা চৌধুরি।
আরও পড়ুন-দেশের এক-তৃতীয়াংশ মহিলা হিংসার শিকার
প্রতিবছরই হয় আমের এই উৎসব। এমন অভিনব আম উৎসবের ভাবনা এল কীভাবে? ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক প্রেসিডেন্ট প্রিয়াল চৌধুরি বলেন, ‘‘বাঙালির ১২ মাসে ১৩ পার্বণ। খাওয়া-দাওয়াকে ঘিরেও ভোজনরসিক বাঙালি আয়োজন করে নানা উৎসবের। বর্ষাকালে বিরাট করে হয় ইলিশ উৎসব। মাছের রাজার উৎসব যদি হয় ফলের রাজার হবে না কেন? এই ভেবেই আমের উৎসবের চিন্তা। তবে আমাদের আম উৎসবের মূল বিশেষত্বই হল একেবারে বিনা পয়সায় খাওয়া।’’ সমগ্র উৎসবের মূল উদ্যোক্তা সোমা চৌধুরি বলেন, ‘‘উৎসব মানেই হল বহু মানুষের সমাগম। আমাদের এই উৎসবেও কম করে ৪-৫ হাজার মানুষ আসেন। মালদহ, মুর্শিদাবাদ বিভিন্ন জায়গা থেকে আনা হয় আম। আম থেকে সুস্বাদু নানান পদ তৈরি করেন পরিচিত একটি ক্যাটারিং সংস্থা। আমের মিষ্টি কেনা হয় কলকাতার প্রসিদ্ধ কিছু মিষ্টির দোকান থেকে।’’ ফলের রাজার এমন লোভনীয় স্বাদ একেবারে বিনে পয়সায় চেখে দেখতে তাই এখন আমহার্স্ট স্ট্রিটের দিকেই তাকিয়ে আমপ্রেমীরা।