অলোক সরকার: সন্ধ্যার আগেই প্র্যাকটিস শেষ করে সবাইকে নিয়ে মাঠে বসে পড়লেন গৌতম গম্ভীর। হয়তো এটাই এলএসজি ম্যাচের টিম মিটিং। কেকেআর আগের ম্যাচে হেরেছে। তবে মেন্টর চেন্নাই ম্যাচের হার নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না। তাঁর সাফ কথা, আমরা তার আগে তিনটি ম্যাচ জিতেছি। সেটা কম নয়।
লখনউ সুপার জায়ান্টস কলকাতার ম্যাচে শহরের জনতাকে কাছে পেতে এক বিশেষ জার্সি গায়ে চাপিয়ে মাঠে নেমেছিল গতবার। রবিবার, নববর্ষের প্রথম দিনেও একই ঘটনা ঘটতে চলেছে। এলএসজি তাদের ঘন নিল জার্সির বদলে এই ম্যাচে খেলবে মেরুন-সবুজ জার্সি পরে। এক্স হ্যান্ডলে সবুজ-মেরুন জার্সি পরা রাহুলদের ছবির একটা কোলাজ পোস্ট করে তারা লিখেছে, নিউ কালারস ফর আ বিগ গেম। নিচে লেখা, কাল দেখা হবে। সোমবার আইএসএলে চ্যাম্পিয়নশিপ ম্যাচে মুম্বই এফসি-র বিরুদ্ধে খেলবে মোহনবাগান। যে ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত লখনউ সুপার জায়ান্টসের কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। ইডেন ম্যাচে মোহনবাগান সমর্থকদের আবেগকে ছুঁতে চায় এলএসজি। সোমবার যুবভারতীতে মোহনবাগান-মুম্বই ম্যাচেও থাকতে পারেন রাহুল ও তাঁর দলের সদস্যরা।
আরও পড়ুন-রাজবংশীদের সঙ্গে বৈঠকে পাশে থাকার বার্তা অভিষেকের
এদিকে, কেকেআরের জন্য সমস্যা এটাই যে, তারা নীতীশ রানাকে এলএসজি ম্যাচে পাচ্ছে না। প্র্যাকটিসে থাকলেও অনিশ্চিত হর্ষিত রানাও। বিকেলের প্র্যাকটিসে নামেননি মিচেল স্টার্ক। পঁচিশ কোটির বোলার এখনও ফর্মে ফিরতে পারেননি। কিন্তু কেকেআর মেন্টর স্টার্কের পাশে দাঁড়িয়ে বললেন, ও ভালই বল করছে। মাথায় রাখতে হবে স্টার্ককে ম্যাচের কঠিন সময়ে বল করতে হচ্ছে। নাইটদের জন্য আরও মুশকিল হচ্ছে যে, তারা এলএসজির কাছে কাছে পরপর হারলেও কখনও তাদের বিরুদ্ধে জেতেনি। কিন্তু গম্ভীর সেটাও উড়িয়ে দিচ্ছেন এই বলে যে, আগে কী হয়েছে ভুলে যান। এটা একটা নতুন ম্যাচ। স্কোরবোর্ডে যেখানে শুন্য থেকে খেলা শুরু হবে।
আরও পড়ুন-প্র্যাকটিসে হাবাস, স্বস্তি দিচ্ছেন সাহাল
নাইটদের নেটে এদিন আলাদা করে ব্যাট করতে দেখা গেল অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারকে। রান পাচ্ছেন না তিনি। রান নেই ভেঙ্কটেশের ব্যাটেও। অঙ্গকৃষ রঘুবংশী হয়তো আরও সুযোগ পাবেন। না হলে নেটে এতক্ষণ ব্যাট করবেন কেন। রাসেলও উড়িয়ে খেললেন। ইডেনের স্লো উইকেটে স্পিনারদের জন্য পরের দিকে কিছুটা সুবিধা থাকে। অনুকূল বা সুয়শের মতো কেউ ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হবেন। লখনউ সুপার জায়ান্টস আগেরদিন ঘরের মাঠে ম্যাচ খেলে এসেছে বলে এদিন আর মাঠমুখো হয়নি। রাহুল দিল্লির কাছে হারের পর বলেছিলেন, তাঁদের ২৫-২০ রান কম হয়েছিল। আয়ুষ বাদোনি ৩৫ বলে ৫৫ রান করে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। সেটা নিশ্চয়ই ইডেনে মাথায় থাকবে।
কেকেআর মেন্টর এদিন সাংবাদিক বৈঠকে এসেছিলেন দু’হাঁড়ি রসগোল্লা নিয়ে। এটা নতুন বছরের জন্য
মিষ্টিমুখ। নাইটরা অবশ্য শহরবাসীকে আরও বড় উপহার দেওয়ার অপেক্ষায়। না বললেও চলে, সেটা বছরের প্রথম দিনে লখনউ-জয়।