প্রতিবেদন: নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে ফের বিতর্ক তৈরি হল। ভারত রাষ্ট্র সমিতির প্রার্থীর ডাকা বৈঠকে যোগ দেওয়া নিয়ে বিজেপি অভিযোগ তোলায় তড়িঘড়ি তেলেঙ্গানার ১০৬ জন সরকারি আধিকারিককে সাসপেন্ড করল নির্বাচন কমিশন। বিআরএস প্রার্থীর বৈঠকে যোগ দেওয়ার অভিযোগ জানান বিজেপি প্রার্থী। তারপরই বিদ্যুৎগতিতে পদক্ষেপ নেয় নির্বাচন কমিশন। স্থানীয় জেলাশাসকের দফতরের আধিকারিকদের সাসপেনশনের নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিকে কমিশনের এই পদক্ষেপ কিছু সঙ্গত প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। বিজেপি প্রার্থীরা যখন হুমকি দিচ্ছেন অথবা বিজেপির বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ যখন দায়ের হচ্ছে, তখন নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েও সুরাহা পাচ্ছে না বিরোধী দলগুলি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কমিশন নিষ্ক্রিয়। অথচ বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ পাওয়ামাত্রই কোপের মুখে তেলেঙ্গানার সরকারি আধিকারিকরা। এক যাত্রায় পৃথক ফলের যুক্তি উঠছে কমিশনের এই ভূমিকায়। তেলেঙ্গানার ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ফের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের অভিযোগ উঠছে।
আরও পড়ুন-বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর মঞ্চেই বেনজির কোন্দলের ছবি
তেলেঙ্গানার মেডক লোকসভা কেন্দ্রের বিআরএস প্রার্থী ভেঙ্কটরামি রেড্ডি একটি নির্বাচনী বৈঠক ডাকলে সেখানে রাজ্যের বিভিন্ন দফতরের ১০৬ জন আধিকারিক যোগ দেন বলে অভিযোগ ওঠে। বিআরএস-এর প্রার্থী রেড্ডি একজন প্রাক্তন আইএএস আধিকারিক। বিজেপি প্রার্থী রঘুনন্দন রাও সেই বৈঠকের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করে কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই ফুটেজ দেখে কমিশনের তরফে জানানো হয়, ফুটেজে প্রমাণিত আধিকারিকরা আদর্শ আচরণবিধি ভেঙেছেন। তাই তাঁদের অবিলম্বে সাসপেন্ড করতে হবে। এরপরই প্রশ্ন ওঠে, বিরোধীরা অভিযোগ তুললে নির্বাচন কমিশনের এই অতিসক্রিয়তা কোথায় থাকে?