প্রতিবেদন : দেড় মাস অতিক্রান্ত। এখনও জ্বলছে মণিপুর। হিংসা, খুন, বাড়িতে আগুন, কার্ফু অব্যাহত। ৩ মে থেকে শুরু। রোজই গোষ্ঠী সঙ্ঘর্ষের আগুনে জ্বলছে বিজেপি শাসিত পাহাড়ি রাজ্য। মৃত্যু ১০০ ছাড়িয়েছে। এলাকা ছাড়া ৫০ হাজারের বেশি পরিবার। অথচ প্রধানমন্ত্রী নীরব! এত ট্যুইট আর প্রতি মাসে মন কি বাত হয়, কিন্তু মণিপুর নিয়ে মুখে কুলুপ অপদার্থ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর। রাজ্যবাসীকে শান্তি ফেরাতে একটি ট্যুইটেও আর্জি জানাননি ৫৬ ইঞ্চির ছাতির প্রধানমন্ত্রী। কোনও বৈঠক করেছেন বলেও খবর নেই। উল্টে মঙ্গলবার ৬ দিনের মার্কিন সফরে বেরিয়ে পড়েছেন তিনি, যখন হিংসার আগুনে শান্ত রাজ্যটি উত্তপ্ত। দ্বিচারী প্রধানমন্ত্রীর এই অবস্থান নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন-সোমবার রাতে কিয়েভে ড্রোন হামলা রাশিয়ার, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা
পাশাপাশি এদিনই তৃণমূল-সহ ১০টি বিরোধী রাজনৈতিক দল প্রধানমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় চিঠি দিয়েছে। বিরোধী দলের স্পষ্ট কথা, ডবল ইঞ্জিন সরকারের বিদ্বেষ আর বিভাজনের রাজনীতিতেই মণিপুর জ্বলছে। মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের অপদার্থতায় জাতিদাঙ্গা শুরু হয়েছে। শুরুতেই পদক্ষেপ করলে এমন হত না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মণিপুরে গেলেও জাতিদাঙ্গা থামাতে ব্যর্থ। তৃণমূল ছাড়াও চিঠি দিয়েছে জেডিইউ, আপ, কংগ্রেস, এনসিপি, শিবসেনা-সহ একাধিক বাম দল।
আরও পড়ুন-একই সঙ্গে চালু হল রিউম্যাটোলজির ডে-কেয়ার পরিষেবা, এসএসকেএম-এ স্ট্রোকের বহির্বিভাগ চালু
মঙ্গলবার ট্যুইটে মণিপুরের হিংসা প্রসঙ্গে তৃণমুল বলেছে, পাহাড়ি রাজ্যটিতে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ গৃহহীন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যের মানুষ কয়েক সপ্তাহ ধরে আপনাকে খুঁজছেন। আর আপনি কিনা ব্যস্ত মার্কিন সফর নিয়ে! প্রধানমন্ত্রীর নামের ব্যাখ্যা দিয়ে বলা হয়েছে, MODI যার অর্থ—
M – Mute (নিঃশব্দ), O – Oblivious (বিস্মৃত), D – Detached (বিচ্ছিন্ন) ও I – Indifferent (উদাসীন)।
আরও পড়ুন-টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে নিখোঁজ সাবমেরিন টাইটান
কেন্দ্র এতটাই অপদার্থ যে, ছোট্ট রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা, আধা সেনা, স্থানীয় ও পার্শ্ববর্তী রাজ্যের পুলিশ মিলিয়ে প্রায় এক লাখ জওয়ান নামানো হয়েছে। তারপরেও হিংসায় লাগাম পরাতে ব্যর্থ সরকার। তৃণমূলের ভাষায়, অতীতে দেশ নেতারা সমস্যা থেকে পালিয়ে না গিয়ে দেশবাসীর কাছে বিষয়টি রাখতেন। মোদির দল ঠিক এর উল্টোটা করছে।