শচীনের মুখে ‘আই’ শুনে আবেগ-বিহ্বল হয়ে পড়েছিলেন, ৮৩’র কাপ জয়ীদের জন্য টাকা তুলে দিয়েছিলেন লতা

বিশ্বজয়ের পুরস্কার হিসাবে কপিলরা সবাই পেয়েছিলেন এক লাখ টাকা করে। ক্রিকেটের প্রতি এতটাই ভালবাসা ছিল ভারতের নাইটিঙ্গেলের।

Must read

আমেদাবাদ, ৬ ফেব্রুয়ারি : শচীন তেন্ডুলকরের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল। সন্তানের মতো ভালবাসতেন লিটল মাস্টারকে। কিন্তু শুধু শচীন একা নন, ভারতীয় ক্রিকেটেরই বিশাল ভক্ত ছিলেন লতা মঙ্গেশকর। এর প্রমাণ বহুবার পাওয়া গিয়েছে। লতার প্রয়াণে ভারতীয় দল রবিবার আমেদাবাদে কালো আর্ম ব্যান্ড বেঁধে খেলেছে।

আরও পড়ুন-গোয়ায় আবার দলনেত্রীর হোর্ডিং ছিঁড়ল বিজেপি, তীব্র নিন্দা তৃণমূলের

বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে শোক জানিয়ে ট্যুইট এসেছে। তাতে লেখা হয়েছে, ‘ভারতীয় দল আজ কালো আর্ম ব্যান্ড পরে খেলছে ভারতরত্ন লতা মঙ্গেশকরজিকে শ্রদ্ধা জানাতে। যিনি রবিবার প্রয়াত হয়েছেন। কুইন অফ মেলোডি লতা দিদি ক্রিকেটকে ভালবাসতেন। এই খেলার পাশে থাকতেন। ভারতীয় দলকে সমর্থন করতেন।’
শচীনকে ব্যক্তিগতভাবে স্নেহ করতেন সুরসম্রাজ্ঞী। বহুবার শচীন তাঁর ডাকে মুম্বইয়ের পেডার রোডের বাড়িতে দেখা করতে গিয়েছেন। এদিনও শেষ শ্রদ্ধা জানাতে শচীন লতার বাড়িতে যান। তার আগে গিয়েছিলেন ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে। যেখানে ৯২ বছর বয়সে শেষনিঃশ্বাস ফেলেছেন লতা। শচীন তাঁকে ‘আই’ বলে ডাকতেন। লতা অবিবাহিত ছিলেন। তবে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, শচীনকে তিনি ছেলের মতো দেখেন। তাই মায়ের মতোই সবসময় শচীনের ভাল চেয়েছেন। বলেছিলেন, লিটল মাস্টার যেদিন তাঁকে প্রথম ‘আই’ বলে ডেকেছিলেন, তিনি আবেগ-বিহ্বল হয়ে পড়েছিলেন।

আরও পড়ুন-ভোটমুখী ৫ রাজ্যে নিষেধাজ্ঞা শিথিল, ঘোষণা কমিশনের

১৯৮৩ সালে ভারত বিশ্বকাপ জেতার পর ক্রিকেটারদের পুরস্কার দেওয়ার মতো অর্থ ছিল না বোর্ডের হাতে। তখন রাজ সিং দুঙ্গারপুর লতাকে অনুরোধ করে দিল্লির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে একটি দু’ঘণ্টার লাইভ কনসার্ট করিয়ে টাকা তুলে দিয়েছিলেন। বিশ্বজয়ের পুরস্কার হিসাবে কপিলরা সবাই পেয়েছিলেন এক লাখ টাকা করে। ক্রিকেটের প্রতি এতটাই ভালবাসা ছিল ভারতের নাইটিঙ্গেলের।

Latest article