প্রতিবেদন : ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর পরই রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাস শুরু করেছে বিজেপি। একটার পর একটা এলাকায় শুরু হয়েছে চরম অশান্তি, ভোট পরবর্তী হিংসা। মারধর, বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, বোমাবাজি— কিছুই বাদ যায়নি। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ত্রিপুরায় ভোট পরবর্তী হিংসার তীব্র প্রতিবাদ করা হয়েছে। দলের পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ সম্পাদক ও মুখমাত্র কুণাল ঘোষ ঘটনার নিন্দা করে বলেছেন, ভোটের ফল প্রকাশের পরই ত্রিপুরা জুড়ে গেরুয়া সন্ত্রাস চলছে। এখন কোথায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন? কোথায় গেল সিবিআই? বাংলার সিপিএম-কংগ্রেসের কাছে প্রশ্ন, এখন আপনারা ত্রিপুরার ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস দেখতে পাচ্ছেন না? কুণালের কথায়, আসলে বিজেপির দুই ভাই, সিপিএম আর কংগ্রেস-আই। এরা তো জোট করেছে নিজেরা। আর হাত মিলিয়েছে সাম্প্রদায়িক বিজেপির সঙ্গে। তাই ত্রিপুরার হিংসা দেখেও কোন মুখে প্রতিবাদের কথা বলবে এখন?
আরও পড়ুন-ভোট মিটতেই অশান্তি মেঘালয়ে জারি কারফিউ
ভোট পরবর্তী হিংসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে ট্যুইট করেছেন বাংলার মন্ত্রী শশী পাঁজাও। তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য, ভোটপর্ব মিটে যাওয়ার পর বিজেপি তার আসল রূপ বের করেছে। দাঁত-নখ বের করেছে। অথচ প্রশাসন নির্বিকার! এর মধ্যে আগরতলা বিধানসভা এলাকায় সবচেয়ে বেশি অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। ভোটের পর থেকে এখনও উত্তেজনা রয়েছে উত্তর চড়িলাম, নেতাজিনগর এলাকায়। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ওইসব এলাকায় বোমাবাজির পর থেকে পরিস্থিতি থমথমে। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত থেকে রীতিমতো তটস্থ বিশালগড়ের নেহালচন্দ্র নগর এলাকার লোকজন।
আরও পড়ুন-মোদি সরকারে স্বচ্ছতা নেই সরব প্রাক্তন বিচারপতি
ত্রিপুরা তৃণমূলের অভিযোগ, বিধানসভা ভোটে জয়লাভের পর থেকেই স্বমহিমায় বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা- কর্মীদের উপর হামলা চালালেও পুলিশ নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। অভিযোগ জানালেও পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তৃণমূলের পক্ষ থেকে ট্যুইট করে সন্ত্রাসের ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। কমলপুরেও বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় বিজেপি আশ্রিত একদল দুষ্কৃতী। তৃণমূলের অভিযোগ, নিজেদের হিংসার রাজনীতির পুনঃপ্রকাশ করল বিজেপি। কিন্তু এরপরও কোথায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন? ভোট পরবর্তী হিংসা দেখেও কেন তৎপর নয় সিবিআই?