প্রতিবেদন : কাশ্মীর ফাইলস নিয়ে মাতামাতি করেছিল বিজেপি সরকার৷ অবিজেপি জমানায় কীভাবে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপর নির্যাতন হয়েছে তা রাজনৈতিক প্রচারে নেমে পড়েছিল মোদির দল৷ অথচ বিজেপি জমানাতেই দেখা যাচ্ছে একের পর এক কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপর আক্রমণ ও খুন–খারাপির ঘটনা ঘটছে৷ সেই সঙ্গে জম্মু–কাশ্মীরের আইনশৃঙ্খলার ব্যাপক অবনতি৷ গত সপ্তাহে বাড়িতে ঢুকে এক পুলিশকর্মীকে খুন করেছিল জঙ্গিরা। আর এবার সটান স্কুলের ভিতরে ঢুকে খুন করা হল এক শিক্ষিকাকে।
আরও পড়ুন-সীতার পাতালপ্রবেশ বিতর্ক, প্রমাণ নেই, চার্জশিটই দিল না আর কে পুর
ওই শিক্ষিকা কাশ্মীরি পণ্ডিত সম্প্রদায়ের মানুষ। মঙ্গলবার সকালে ভয়ঙ্কর এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম এলাকার গোপালপুরা হাই স্কুলে। স্কুলের ভিতরেই জঙ্গিরা গুলি চালায় তাঁর উপর৷ গুরুতর জখম ওই শিক্ষিকাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যান তিনি৷ রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মৃত শিক্ষিকার নাম রজনী বালা। তিনি কাশ্মীরি পণ্ডিত সম্প্রদায়ের মানুষ। ইতিমধ্যেই শিক্ষিকা খুনের ঘটনা নিয়ে কাশ্মীরে তীব্র রাজনৈতিক কাজিয়া শুরু হয়েছে। যথারীতি এ ঘটনায় কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারকে তোপ দেগেছে বিরোধীরা।
আরও পড়ুন-গার্হস্থ্য হিংসা : যা বলল সুপ্রিম কোর্ট
কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি বলেছেন, বিজেপি সরকারের বিভাজনের রাজনীতির ফলেই কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপর এভাবে একের পর এক হামলা হচ্ছে। কাশ্মীর শান্ত হয়ে গিয়েছে, মোদি সরকারের এই দাবি যে কতটা ভিত্তিহীন একের পর এক খুনের ঘটনা সেটাই প্রমাণ করে। এর আগে সরকারি অফিসে ঢুকে কাশ্মীরি পণ্ডিত সম্প্রদায়ের কর্মী রাহুল ভাটকে খুন করেছিল জঙ্গিরা। তা নিয়ে অশান্ত হয়ে ওঠে উপত্যকা৷ এরপর এক অভিনেত্রী ও পুলিশ কর্মীও জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন।