প্রতিবেদন : কেন্দ্রের দ্বিচারিতা এবং খামখেয়ালি আচরণের শিকার হলেন চাকরিপ্রার্থীরা (TET Candidates)। আদালতের নির্দেশে প্রাথমিকে শিক্ষকতার দোরগোড়ায় পৌঁছেও থমকে দাঁড়ালেন চাকরিপ্রার্থীরা। রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম মুখপাত্র শিক্ষাবিদ কামাল হোসেনের অভিযোগ, বাংলার প্রায় ১৫০০ প্রার্থীর চাকরি আটকে গিয়েছে শুধুমাত্র কেন্দ্রের ঔদাসীন্যের ফলেই। তাঁর বক্তব্য, এনসিটিই-র নিয়ম অনুযায়ী ডিএলইডি পাশ করলেই প্রাথমিক এবং উচ্চপ্রাথমিকে শিক্ষকপদের জন্য টেট পরীক্ষায় বসা যাবে। ডিএলইডি প্রশিক্ষণের মেয়াদ ২ বছর। কিন্তু প্রাইভেট স্কুলে কর্মরত শিক্ষকদের সুযোগ করে দিতে পরে এনআইওসি-র মাধ্যমে মাত্র ৪৫০০ টাকায় ১৮ মাসের প্রশিক্ষণের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেই অনুযায়ী দেশের বহু চাকরিপ্রার্থী (TET Candidates) এই সংক্ষিপ্ত কোর্সটি করে নেন। কিন্তু রাজস্থানের একটি মামলার প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়— ১৮ মাসের কোর্স করলে চলবে না। চাই ২৪ মাসের কোর্সই। সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। ফলে মাথায় হাত প্রার্থীদের। এমনকী ২০১৭ এবং ২০২০-র সফল প্রার্থীরাও নিশ্চিতভাবে বঞ্চিত হতে চলেছেন। কামাল হোসেন ক্ষোভের সঙ্গে বললেন, এর দায় সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্রেরই। রাজ্য যখন চাকরি দিতে প্রস্তুত তখন এভাবেই বঞ্চিত করা হচ্ছে যোগ্যদের।
আরও পড়ুন-বন্ধ বিএড বিশ্ববিদ্যালয়, আইনি পরামর্শ নিচ্ছে শিক্ষা দফতর