দুলাল সিংহ, বালুরঘাট: পাপকে ঘৃণা করো পাপীকে নয়। এই তত্ত্বই প্রয়োগ করল বালুরঘাট জেলা প্রশাসন। সংশোধনাগারে সাজা কেটে মুক্ত গুরুপদ বর্মনকে সমাজের মূল স্রোতে ফেরাতে তৎপর হল তারা। ১৯৮৭ সালে বালুরঘাট ব্লকের রায়নগর গ্রামে জমিবিবাদের জেরে পরিবারের আট সদস্যের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছিল। ঘটনায় নয় বছরের আইনি প্রক্রিয়ার পর ১৯৯৬ সালে চারজন গ্রেফতার হয়। ওই চারজনের মধ্যে দুজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়, একজন আত্মহত্যা করে।
আরও পড়ুন-রাজস্থান ম্যাচের আগে কামাখ্যা মন্দিরে বরুণ-রিঙ্কুরা
কিন্তু কারাগারে ইতিবাচক আচরণের কারণে গুরুপদ বর্মনের সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে রূপান্তরিত হয়। তবে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও অন্য কর্তৃপক্ষের সুপারিশের ভিত্তিতে পর্যালোচনা বোর্ড গুরুপদকে সম্পূর্ণ মুক্তি দিয়েছে। শুধু মুক্তি দেওয়াই নয়, গুরুপদকে সমাজের মূল স্রোতে ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন। সংশোধনাগার দফতরের আধিকারিক জয়ন্তকুমার সুর জানিয়েছেন যে, প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন বিভাগের মাধ্যমে গুরুপদকে পশুসম্পদ সরবরাহ করার পরিকল্পনা করেছেন। বলেন, আমরা ওঁকে গবাদি পশু সরবরাহ করার কথা বিবেচনা করছি। এই খবর পেয়ে গুরুপদ বলেন, আমি এখন জেলা প্রশাসনের সহায়তায় নতুন জীবন শুরু করব। পশুপালনকে আমার জীবিকা হিসাবে গ্রহণ করব। আমার পাশে দাঁড়ানোর জন্য জেলা প্রশাসনের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।