চম্পাহাটিতে বাজি হাবের জমি দেখল প্রশাসন

জেলাশাসকের কথায়, প্রথম পর্যায়ে ৮ একর জমি দেখা হয়েছে। শব্দবাজিকে এড়িয়ে গ্রিন বাজির উপরে বেশি নজর দেওয়া হবে।

Must read

নকিবউদ্দিন গাজি, বারুইপুর: বারুইপু্রের চম্পাহাটি হাড়ালে ঘরে ঘরে বেআইনি বাজি তৈরি ঠেকাতে এবার সেখানে হবে অত্যাধুনিক বাজি হাব। সঙ্গে আধুনিক কমন ফেসিলিটি সেন্টার। সেই সঙ্গে দমকলের ব্যবস্থাও থাকবে। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই বাজিশিল্প বাঁচাতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়েছে। বাজি তৈরি করতে গিয়ে কোনওভাবেই যাতে দুর্ঘটনা না ঘটে, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই ফাঁকা জায়গায় তৈরি হবে এই প্রস্তাবিত বাজি হাব। সম্প্রতি জমি পরিদর্শন করে গিয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তার নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল।

আরও পড়ুন-মহানন্দা নদী থেকে বালি পাচার, কী করছে বিএসএফ, বাংলাদেশি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য

এই দলে ছিলেন বারুইপুর পূর্বের বিধায়ক বিভাস সরদার, অতিরিক্ত জেলাশাসক সিয়াত এন (জেনারেল), জেলার পুলিশ সুপার মিস পুষ্পা, বারুইপুরের মহকুমা শাসক সুমন পোদ্দার-সহ সেচ দফতর, ভূমিসংস্কার ও দমকলের বিভিন্ন আধিকারিকরা। চিনের মোড় থেকে ভিতরে ঢুকে জমি পরিদর্শন করেন জেলাশাসক। বাজি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথাও বলেন তাঁরা। পরে জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বলেন, চম্পাহাটি, বেগমপুর, সাউথ গড়িয়া এলাকায় বাজির ব্যবসা হয়। ঘরে ঘরে বাজি তৈরি বন্ধ করার দিকে নজর রেখে জনবসতি থেকে দূরে বাজি ক্লাস্টারের জমি দেখা হয়েছে। হাব, ক্লাস্টার সব হচ্ছে নিয়ম মেনেই। আমাদের কাছে কাগজপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন-তৃতীয় রাউন্ডে লক্ষ্য, ছিটকে গেলেন সিন্ধু

পাশাপাশি, বিধায়ক বিভাস সরদার বলেন, বাজি হাব, ক্লাস্টার হলে উপকৃত হবেন ব্যবসায়ীরা। কাটাখাল বাইপাসের দু’পাশে হাব করার জন্য সেচ দফতরের জায়গা চিহ্নিত করে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বাজি ব্যবসায়ী অর্জুন মণ্ডল বলেন, এই এলাকার কয়েক লক্ষ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বাজিশিল্পের সঙ্গে যুক্ত। রাজ্য সরকার বাজিশিল্পীদের কথা ভেবে এবং বাজি তৈরির যে ব্যবস্থা নিয়েছেন তার জন্য আমরা খুশি। কারণ যে কোনও মুহূর্তে চম্পাহাটি এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটলে বহু মানুষের ক্ষতির সম্ভাবনা আছে। সেই কারণেই ফাঁকা জায়গায় কারখানা তৈরি হলে দুর্ঘটনার হাত থেকে নিজেদের বাঁচাতে পারব আমরা। স্থানীয় বিধায়ক নিজে উদ্যোগ নিয়েছেন বাজিশিল্পীদের বাঁচানোর। জেলাশাসকের কথায়, প্রথম পর্যায়ে ৮ একর জমি দেখা হয়েছে। শব্দবাজিকে এড়িয়ে গ্রিন বাজির উপরে বেশি নজর দেওয়া হবে।

Latest article