সংবাদদাতা, খেজুরি : শীতের মরশুমে দিঘা, বকখালির পাশাপাশি এবার বাঙালির নতুন বেড়ানোর জায়গা হয়ে উঠছে খেজুরি। ভারতের প্রথম ডাকঘর, রাজা রামমোহন রায়, প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত এই সমুদ্র সৈকতে পর্যটক টানতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা রয়েছে প্রশাসনের। জেলা পরিষদ সভাধিপতি উত্তম বারিক বলেন, জেলা প্রশাসনের তরফে খেজুরির দর্শনীয় স্থান, কপালকুণ্ডলা মন্দির, মৎস্যবন্দর নিয়ে একটি সার্কিট ট্যুরিজম কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।
আরও পড়ুন-কৃষকবন্ধু সহায়তা প্রদান বারাসতে
শীতের মরশুমে পর্যটকেরা খেজুরি সৈকতে পিকনিক করতে আসেন। তাঁদের যাতে কোনওরকম সমস্যা না হয় তার উপর জেলা পরিষদের নজরদারি রয়েছে। রসুলপুর নদীর ওপারে উত্তর-পূর্ব ভারতের সর্ববৃহৎ পেটুয়াঘাট মৎস্যবন্দর, বঙ্কিমচন্দ্রের স্মৃতিবিজড়িত কপালকুণ্ডলা মন্দির, লাইটহাউস এবং হিজলি শরিফ-এর টানে প্রচুর মানুষের সমাগম হয় খেজুরিতে। শীত পড়লেই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত ও অন্যান্য জেলা থেকেও ভিড় জমান মানুষ। বন দফতরের বাংলো ছাড়াও এখানে রয়েছে হাতেগোনা কিছু হোটেল। খেজুরি প্রাচীনকালের উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রথম সমুদ্রবন্দর। ১৭৫৬ সালে লবণ, নীল ও দাসপ্রথার জন্য মানুষ কেনাবেচার ক্ষেত্র হিসেবে এই খেজুরিবন্দর গড়ে তোলে ইংরেজরা। ১৭৭২ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির খবর আদানপ্রদানের জন্য খেজুরিতে প্রথম ডাকঘর স্থাপন হয়। এই ডাকঘরেই রাত্রিযাপন করেছিলেন রাজা রামমোহন রায়। এসবের টানে আরও পর্যটক আসবে ধরে নিয়েই এগোচ্ছে প্রশাসন।