উন্নয়নে সবচেয়ে খুশি বাংলার কৃষকরা : কৃষিমন্ত্রী

বিরোধীদের রাজনৈতিক কুৎসার জবাব দিলেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। নস্যাৎ করে দিলেন তাদের বিভ্রান্তিকর তথ্য।

Must read

প্রতিবেদন : বিরোধীদের রাজনৈতিক কুৎসার জবাব দিলেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। নস্যাৎ করে দিলেন তাদের বিভ্রান্তিকর তথ্য। তীব্র ভাষায় বিরোধীদের আক্রমণ করে তিনি মন্তব্য করলেন, তৃণমূলের সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে লড়াই করতে না পেরে বারবার অপপ্রচার আর ভুল তথ্য পরিবেশনের পথকে বেছে নিচ্ছেন বিরোধীরা। কৃষক আত্মহত্যা নিয়ে যে-খবর চারিদিকে রটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি নেতৃত্ব, তা সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়ে সপাটে জবাব দিলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন-কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে রাজ্যসভায় সরব প্রকাশ চিক বরাইক, চা শ্রমিকদের ভূমির অধিকার দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী

তিনি অভিযোগ করেন যে, রাজ্যে ঋণের দায়ে কৃষকের ‍‘আত্মহত্যা’ বলে মিথ্যা খবর ছড়াচ্ছে পদ্ম শিবির। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কারণে দেশের অন্যান্য রাজ্যের থেকে সবথেকে বেশি খুশি বাংলার কৃষকরা। তাই আত্মহত্যার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। যে ঘটনাকে বিরোধীরা হাতিয়ার করতে চাইছেন সেটা একান্তই পারিবারিক ব্যাপার। মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, বিজেপির অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়ে জানান, পশ্চিমবঙ্গই একমাত্র রাজ্য, যেখানে ভাগচাষিরাও সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পায়। শস্যবিমা বাবদ কৃষকদের ৫৪২৭.৩৫ কোটি দেয় সরকার। এই প্রকল্পের ২৭২৬.৪৪ কোটি টাকা ক্লেম করা হয়েছে। কৃষকবন্ধু প্রকল্পের সৌজন্যে বাংলার চাষিদের আর কোনও অভিযোগ নেই বললেই চলে। কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের ৬.৭২ লক্ষ মেট্রিক টন সার প্রয়োজন, কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে বেশি দামে সার কিনতে হচ্ছে কৃষকদের। এ-বছর চাষ শুরু করতে দেরি হয়েছে আবহাওয়ার জন্য। তাতেও আমরা ক্ষতিপূরণ দিই। ১৯৪ কোটি টাকা দিয়েছি। একজন কৃষকও বাদ যাবেন না। সবাই ক্ষতিপূরণ পাবেন। বিক্ষিপ্ত বা পারিবারিক কোনও ঘটনাকে রাজনৈতিক রং চড়িয়ে তৃণমূলকে বদনাম করার যে অপচেষ্টা করছে বিজেপি, তার তীব্র বিরোধিতা করেন কৃষিমন্ত্রী।

Latest article