বাসুদেব ভট্টাচার্য, জলপাইগুড়ি: পুরনো রীতি ভুলে দুর্গাপুজোর আনন্দে শামিল হলেন নতুন প্রজন্মের অসুর (Asur) সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েরা। রীতিমতো উৎসবের মেজাজে তাঁরা কাটাচ্ছেন পুজোর ক’টা দিন। জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটা ব্লকের ভুটান সীমান্ত লাগোয়া কেরন চা-বাগানে একটি অংশে অসুর সম্প্রদায়ের মানুষের বাস। দীর্ঘ কয়েক দশক থেকে এই চা-বাগান এলাকায় রয়েছেন তাঁরা। সর্বসাকুল্যে ৫০-৫৫টি অসুর সম্প্রদায়ের পরিবার রয়েছেন এই গ্রামে। এই চা-বাগান এলাকায় দুর্গাপুজার আয়োজন করা হলেও পুজোর অনুষ্ঠানে শামিল হন না অসুররা (Asur)। গোটা গ্রাম যখন পুজোর আনন্দে মেতে ওঠে, সেই সময় কার্যত নিজেদের বাড়িতে বন্দি করে রাখেন তাঁরা। তবে সময়ের সাথে পরিস্থিতি এখন বদলেছে অনেকটাই। এই প্রজন্মের অসুর সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়ে পুজোয় শামিল হন। অসুর সম্প্রদায়ের মানুষেরা এখন ধর্ম পরিবর্তন করে খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেছেন। কাজেই ধর্ম থেকে শুরু করে পেশা এমনকী জীবন যাপন সবেতেই এসেছে পরিবর্তন। তবে একটি সময় ছিল যখন বাড়ির কচিকাঁচাদের রীতিমতো সাবধান করে দেওয়া হত যাতে তারা পুজোর মণ্ডপের দিকে পা না বাড়ায়। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে পুজো মণ্ডপে যেতে সেই ভাবে আর বাধা দেওয়া হয় না। তবে এই সম্প্রদায়ের বড়রা এখনও পুজো মণ্ডপ থেকে দূরেই থাকেন।
আরও পড়ুন-পুজোয় মাতবেন ভুটানের নাগরিকেরা