শ্রেয়া বসু: পঞ্চমীর শুভ তিথি দেয় ‘শ্রী’ বৃদ্ধির ইঙ্গিত। শিক্ষার ‘শ্রী’, বাংলার শিক্ষাশ্রী, মেধাশ্রী। ভারতের সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থার মতোই পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষার কাঠামো একাধিক স্তর নিয়ে গঠিত। বিপুল সংখ্যক সরকারী এবং বেসরকারী প্রতিষ্ঠানকে পাশে নিয়েই বাংলা শিক্ষার ক্ষেত্রে আজ ভারতের অন্যতম প্রধান রাজ্য। মমতাময়ী স্পর্শে পড়াশোনা আর বাংলায় এখন বাধা নয়। মেধাশ্রী প্রকল্পে টাকা পাচ্ছে পড়ুয়ারা!
আরও পড়ুন-বাঘাযতীন-কাণ্ডে লিফটিং সংস্থার কর্ণধার গ্রেফতার
রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের আর্থিক সুবিধা এবং বিশেষ স্কলারশিপ দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিষ্ক প্রসূত কন্যাশ্রী, ঐক্যশ্রী, শিক্ষাশ্রী, স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপের মতো প্রকল্পগুলি চালু করা হয়েছে। পিছিয়ে পড়া শ্রেণি বা ওবিসি জাতির পড়ুয়াদের জন্য একটি নতুন প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। চালু হয়েছে মেধাশ্রী প্রকল্প। এই প্রকল্পে গরিব শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে আর্থিক সহায়তা। মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা কোনও রকমের আর্থিক অভাব ছাড়াই পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবে একমাত্র বাংলাতেই। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণীতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার জন্য বৃত্তি দেওয়া হবে। সুবিধাবঞ্চিত ও সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা প্রকল্পের জন্য টাকা পাবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা বছরে ৮০০ টাকা আর্থিক সহায়তা পাবে। যা অনস্বীকার্য, তা হল বাংলার বুকে শিক্ষার শ্রী বৃদ্ধিতে এক ও অদ্বিতীয় উল্লেখ্য বিষয়, মমতা ম্যাজিক। কেন্দ্রের হিসেবে অনুযায়ী সম্প্রতি দেখা যায় বাংলায় বেড়েছে স্কুলে যাওয়া ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা। অন্যান্য যেকোন রাজ্যের তুলনায় সরকারি স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা বাংলায় অনেকাংশেই বেশি। জাতীয় শিক্ষানীতিকে মান্যতা দিয়ে বাংলার শিক্ষা পোর্টালে যুক্ত হয়েছে ‘পেন’ অর্থাৎ ‘ইউনিক আইডিন্টিফিকেশন’ নম্বর বা ‘পার্মানেন্ট এডুকেশন’ নম্বর(পেন)।
আরও পড়ুন-ওবিসি মামলা : ১৮ ফেব্রুয়ারিতে শুনানি
এবার খাতার পাতা উল্টে নজরে ডবল ইঞ্জিন শাসিত রাজ্য।খোদ শিক্ষা দফতরের আধিকারিকের বাড়িতে বিছানায় থরে থরে টাকার বান্ডিল। প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে রীতিমত হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে বিহার বোর্ডে। অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশে সাধারণ শিক্ষাগত অনগ্রসরতা ও নিরক্ষরতা কাটিয়ে উঠতে একপ্রকার হিমশিম খাচ্ছে। ২০২৩ সালের কেন্দ্রীয় হিসেবে শিশুদের শিক্ষায় দেশের মধ্যে এগিয়ে বাংলা, একেবারে তলানিতে উত্তরপ্রদেশ। বিদ্যালয়ে বুনিয়াদি শিক্ষা এবং গাণিতিক সাক্ষরতার নিরিখে একাধিকবার দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে পশ্চিমবঙ্গ। অনূর্ধ্ব ১০ বছর বয়সি শিশুদের সাক্ষরতা নির্ধারণে বড় রাজ্যগুলিকে নিয়ে ২০২২ সালের সূচক অনুযায়ী শীর্ষে রয়েছে বাংলা। তালিকায় একেবারে নিচে উত্তরপ্রদেশ। সরস্বতীর আরাধনা সারা বছর আমাদের রাজ্যেই হয়।