লোকসভা নির্বাচনে ১০০ পেরোবে না বিজেপি। অঙ্ক কষে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ঔদ্ধত্য, অহংকার, দুর্বিষহ ব্যবহার, এজেন্সির বিরুদ্ধে মানুষ ভোট দিয়েছে। আমি কর্নাটকের মানুষকে কুর্নিশ জানাই। এটা ২০২৪-এর আগে বিজেপির শেষের শুরু। মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়েও হারবে বিজেপি। শনিবার, কালীঘাটে বাড়ির সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই কথা জানান তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফের এদিন তিনি বলেন, নো ভোট টু বিজেপি।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর (CM Mamata Banerjee) বাড়িতে যান বলিউডের সুপারস্টার সলমন খান। তাঁর সঙ্গে আলাপচারিতার পরে বাড়ির বাইরে বেরোতেই কর্নাটকের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে তাঁর থেকে জানতে চায় সংবাদ মাধ্যম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এটা ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির শেষের শুরু। চরম ঔদ্ধত্য, অহংকার, এজেন্সি পলিটিক্সের ফল ভোগ করছে BJP। কর্নাটকে (Karnatak) যে ভাবে ধরাশায়ী হয়েছে বিজেপি, সেভাবেই লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হবে তাদের। ১০০ পেরোবে না গেরুয়া শিবির। অঙ্ক কষে তৃণমূল সুপ্রিমো জানান, ‘‘উত্তরপ্রদেশ যোগীর রাজ্য। সেখানে অখিলেশ ভালো কাজ করছে। উত্তরপ্রদেশ ও গুজরাত ওদের আছে। কিন্তু কর্নাটক, তেলঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশে, কেরালা চেন্নাই, বিহার, বাংলা, ঝাড়খন্ড, ওড়িশা, দিল্লি, মুম্বই, পঞ্জাব-সহ অনেক রাজ্য আছে, যেখানে বিজেপি ক্ষমতায় নেই। এখন আর তাঁরা আসন পাবে না। আগামী লোকসভা নির্বাচনে ১০০-এর বেশি ক্রস করতে পারবে না।’’
আরও পড়ুন: ‘ক্ষমতার আস্ফালন পরাজিত হল’ কর্নাটকে জয়ী কংগ্রেস, শুভেচ্ছাবার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
এরপরেই মোদি সরকারের এজেন্সির দিয়ে ভয় দেখানো নিয়ে সুর চড়ান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে চাপে রাখতে এজেন্সি দিয়ে চার সৃষ্টি করে বিজেপি। এমনকী, রাজ্যপালদেরও ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে, তিনি স্পষ্ট করে দেন, এবিষয়ে বাংলার কথা বলছেন না তিনি। কিন্তু সব বিজেপি-বিরোধী রাজ্যেই এই সমস্যা আছে। একপরেই রাজভবনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা। তাঁর কথায়, এটা অর্থের অপরচয়।
তৃণমূল সুপ্রিমোর কথায়, ’’বাংলা যে পথ দেখিয়েছে, মানুষ যে রায় দিয়েছে, তাতে ইমেজ বলে কিছুই হয় না। গানের সুর না থাকলে সেজেগুজে গান গাইলে তো হয় না।’’ মমতার কথায়, এটা গণতন্ত্রের জয়। তাঁর কথায় এভাবে, ২০২৪-এ দিল্লি থেকে মুছে যাবে বিজেপি।