সংবাদদাতা, কাটোয়া : আন্তর্জাতিক আলোচনাচক্রে যোগ দিয়েছিলেন কাটোয়ার জীববিজ্ঞানী সুনীল পাল। পথকুকুরের জীবনাচরণ নিয়ে নতুন দিশা দেখানো সুনীল ম্যাসিডোনিয়ার ওহরিড বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত আলোচনাসভায় স্বীকৃতি নিয়ে দেশে ফিরলেন। জানান, ‘‘৫২টি দেশের ২৩৫ জন গবেষক আমন্ত্রিত ছিলেন। আমিই আলোচনার সূত্রপাত করি। তবে ‘নজরকাড়া আলোচক’ স্বীকৃতি দেবে, স্বপ্নেও ভাবিনি।’’ ম্যাসিডোনিয়ার ঐতিহ্য, সংস্কৃতির সঙ্গে বাংলার সাদৃশ্যে অভিভূত সুনীল। সেখানে দেশি কুকুরের আচরণের যে দিক সম্পর্কে সুনীল আলোকপাত করেন, তা হল, গর্ভধারিণীর মৃত্যু হলে সন্তানদের দেখাশোনা করার দায়িত্ব একেবারে মানুষের মতোই নেয় তাদের দিদা, মাসি বা দিদিরা।
আরও পড়ুন-ডেঙ্গুমুক্ত গোবরডাঙা শহর গড়তে অভিযান
২০০৫-এ প্রথম আন্তর্জাতিক আলোচনামঞ্চে যোগ দেন। লিখেছেন অ্যাপ্লায়েড অ্যানিম্যাল বিহেভিয়ারাল সায়েন্স, ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ জুলজি-র মতো বিজ্ঞান পত্রিকায়। প্রথমে জাপান, পরে আয়ারল্যান্ড, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, থাইল্যান্ড, চিনে গিয়ে দেশি কুকুরের আচরণের নতুন নতুন দিক তুলে ধরে প্রশংসিত হন কাটোয়া শহরের ভারতীভবন উচ্চবিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সুনীল। গলি-উপগলিতে ছড়িয়ে থাকা অবহেলা, অনাদর, উপেক্ষার দেশি সারমেয়দের রাগ, অনুরাগ, অভিমান, অপত্য স্নেহ, লালনপালন-সহ আচরণের অনালোকিত দিক আবিষ্কার করেছেন লন্ডনের রয়্যাল সোসাইটির সদস্য সুনীল। আশা, ‘‘এবার অন্তত কেন্দ্র সরকার আমার গবেষণার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে।’’