মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে হামলা নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনে নালিশ অখিলেশ যাদবের দলের।
একুশের নির্বাচনে রাজ্যে ল্যান্ড স্লাইড ভিক্ট্রির পরে উত্তরপ্রদেশে প্রার্থী না দিয়ে সমাজবাদী পার্টিকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর অখিলেশ যাদবের (Akhilesh Yadav) সমর্থনে সভা করতে বারাণসীতে তিনি যাওয়ায় ভয়ে পেয়ে যায় বিজেপি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কনভয় ঘিরে ধরে দুবার বিক্ষোভ দেখায় গেরুয়া শিবির। এই বিক্ষোভের অর্থ ছিল তৃণমূল নেত্রীর ক্ষতি করা। এই অভিযোগে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনে (Election Commission) নালিশ করল সমাজবাদি পার্টি। সপার সহ-সভাপতি কিরণ্ময় নন্দের অভিযোগ, তৃণমূল সুপ্রিমোর ক্ষতি করতে চেয়েছিলেন বিজেপি কর্মীরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীতে মমতার সফরসূচির কথা উত্তরপ্রদেশের রাজ্য প্রশাসনকে জানানো হয়। তারপরেও প্রশাসনের তরফে উপযুক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়নি বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন – অনেক বলেছি, ওরা শোনেনি, আগামীতে বিজেপি মুছে যাবে দেশ থেকে
বারাণসীতে পৌঁছতেই মমতার (Mamata Banerjee) গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। ঘাট থেকে আরতি দেখের ফেরার পথেও ফের মমতার কনভয় ঘিরে ধরে বিজেপির নেতা-কর্মীরা। প্রচার মঞ্চ থেকে বিষয়টি নিয়ে সরব হন মমতা। এরপর শনিবার বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করল সপা। লেখা হয়, বিজেপি কর্মীরা লাঠি-সহ একাধিক অস্ত্র নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ি ঘিরে ধরে। গাড়িতে লাঠি দিয়ে মারাও হয়। মমতা বিরোধী স্লোগান দেওয়া হয়। তৃণমূল সুপ্রিমোর ক্ষতি করার উদ্দেশ্যেই তাঁকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোড়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ করা হয়।
একজন জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা প্রাপ্ত মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা যেভাবে বিঘ্নিত হয়েছে, তাতে স্থানীয় পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগের ব্যর্থতাই প্রমাণিত হয়। বিধানসভা নির্বাচনের সময় এই ঘটনা ঘটায় কমিশনকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন কিরন্ময় নন্দ।