কালিয়াগঞ্জে জাতীয় শিশু কমিশনের অসভ্যতা

Must read

প্রতিবেদন : কালিয়াগঞ্জের (kaliaganj) সাহেবঘাটায় এক কিশোরীর মৃত্যু নিয়ে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের কর্তাদের অসভ্যতা চরমে উঠল। কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়ঙ্ক কানুনগোর কাণ্ডকারখানায় বিরক্ত রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা। বিমানবন্দরে পা দিয়েই তিনি রাজ্যের (kaliaganj- West Bengal) পরিস্থিতি নিয়ে একের পর এক বিজেপির শেখানো বুলি আওড়াতে শুরু করেন। ইডি, সিবিআইয়ের মতো তিনিও বিজেপির এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন বলেই অভিযোগ উঠছে। রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে কানুনগোর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, রাজ্যের প্রতিনিধিদের কোনও কথাই শুনতে চাননি কানুনগো। রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের কর্তাদের সঙ্গে কোনও আলোচনাও করেননি তিনি। এমনকী বৈঠকে আসবেন বলেও বাকিদের অপেক্ষা করিয়ে তিনি নিজে আসেননি। গোটা ঘটনায় আগাগোড়া বিজেপির শেখানো বুলি আওড়া যাচ্ছেন তিনি, এমনই অভিযোগ করেছেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের কর্তারা। এরই মধ্যে শনিবার রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের পক্ষ থেকে সুদেষ্ণা রায় ও অনন্যা চট্টোপাধ্যায় মৃত কিশোরীর বাড়ি গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। প্রিয়ঙ্ক কানুনগোও ঘটনাস্থলে যান। যাওয়ার আগে চিফ সেক্রেটারির কাছে লিখিত ভাবে তিনি জানিয়েছিলেন গোটা ঘটনা নিয়ে রাজ্য কমিশনের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। সেইমতো মেডিক্যাল টিম, পুলিশ, ডিস্ট্রিক্ট চাইল্ড প্রোটেকশন ইউনিট-সহ রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের কর্তারা জেলাশাসকের দফতরে বসেছিলেন। কিন্তু সকাল সাড়ে এগারোটা থেকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করিয়েও কানুনগো আসেননি বৈঠকে। উল্টে বৈঠকের জায়গা ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে নানা শর্ত দিতে শুরু করেন। রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের পক্ষে সুদেষ্ণা রায় (Sudeshna Roy) বলেন, জেলাশাসকের দফতরে আলোচনার জন্য সভাঘর আছে। অথচ সেখানে আসতে রাজি হননি তিনি। রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনকে ‘ইনকম্পিটেন্ট’ বলছেন। কারণ এখানে রাজনীতির রঙ লাগাতে চাইছেন তাঁরা। কিশোরীর মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা, মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। সবমিলিয়ে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের এই ‘নন কো-অপারেশন’ মনোভাব ঠিক নয়। আইন অনুযায়ী দুই কমিশনের একসঙ্গেই কাজ করা উচিত।

আরও পড়ুন- জনসংযোগ যাত্রায় উদ্দীপিত মেদিনীপুরের নেতা-কর্মীরা

Latest article