আইএসএলের মাঝপথে হাবাসকে সরিয়ে দেওয়া হল বলে আমি অবাক নই। কোনও ভারতীয় কোচ হলে অনেক আগেই সরিয়ে দেওয়া হত। হাবাস নিজে পদত্যাগ করলেন, নাকি তাঁকে ক্লাব কর্তারা সরিয়ে দিয়েছেন, এ সবের মধ্যে আমি যেতে চাই না। আমি বলব, উনি জাহাজ ফেলে পালিয়ে গেলেন!
আরও পড়ুন-অরুণাচলে মিলল লুপ্তপ্রায় তাকিন
যতই দু’বার আইএসএল জিতুক, হাবাস বড় কোচ নন। এবার তো খারাপ দল হাতে পাননি। তার পরেও এই রেজাল্ট কেন? একা সন্দেশ ঝিঙ্গান নেই বলে রক্ষণ ভেঙে পড়বে? তাহলে কীসের কোচ উনি! মোহনবাগানের বাঁ-দিক দিয়ে সব থেকে বেশি গোল হয়েছে। লেফট ব্যাকে শুভাশিস বোস আক্রমণে যতটা ভাল, রক্ষণে তত দক্ষ নয়। শুভাশিস আক্রমণে উঠলে দ্রুত নিচে নেমে রক্ষণকে সাহায্য করতে পারে না। লেফট ব্যাক, লেফট উইং হাফ দুর্বল। কোচের উচিত ছিল দুর্বলতা ঢাকার চেষ্টা করা।
আরও পড়ুন-ঠান্ডায় কাবু দিল্লি
নিশ্চয়ই কোচের পরামর্শ নিয়েই দল গড়া হয়েছিল। তাহলে জাভি হার্নান্ডেজকে ধরে রাখা গেল না কেন? মাঝমাঠে ব্লকার নেই। জাভি থাকলে এই সমস্যায় পড়তে হত না। আর বোউমাসকে মনে হল স্ট্র্যাটেজির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে ব্যর্থ। রক্ষণ, মাঝমাঠের বেহাল অবস্থা সত্ত্বেও দেখি কোচ নিয়মিত তিন ডিফেন্ডার নিয়ে শুরু করেন। তিন ডিফেন্ডার কখন খেলাব, যখন আমার দলের তিনজন ডিফেন্ডারই খুব শক্তিশালী হবে। তাহলে কেন ৩-৫-২ ফর্মেশনে খেলব? হাবাসের রণনীতি নিয়ে আমরা আগে থেকেই প্রশ্ন তুলেছিলাম।
আরও পড়ুন-নতুন ভোর আনার বার্তা তৃণমূলনেত্রীর, গোয়ার স্বাধীনতা দিবস স্মরণ
তবে যতই হাতে অনেক ম্যাচ থাক, নতুন কোচের পক্ষে এটিকে মোহনবাগান দল নিয়ে এবার সাফল্য পাওয়া কঠিন। সবার আগে জানুয়ারি উইন্ডোয় একজন সেন্টার ব্যাক এবং মাঝমাঠে একজন ব্লকার সই করাতে হবে। না হলে এবার প্লে-অফের আগেই বিদায় নিশ্চিত।