নয়াদিল্লি : হাজার সমালোচনাতেও দেশের সম্পত্তি বেচার ট্র্যাডিশন থেকে সরতে নারাজ মোদির সরকার। তালিকায় এবার নতুন সংযোজন দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় দস্তা উত্তোলন ও সরবরাহকারী সংস্থা হিন্দুস্তান জিঙ্ক। বেশ কিছুদিন ধরেই ধাপে ধাপে হিন্দুস্তান জিঙ্ককে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া কাজ চলছিল। সেই ব্লু-প্রিন্ট অনুযায়ী কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে থাকা সংস্থাটির সিংহভাগ শেয়ারই বাজারে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। আপাতত কেন্দ্রের হাতে রয়েছে ২৯.৫৪ শতাংশ শেয়ার।
আরও পড়ুন-যাঁরা আইন মেনে চলেন শুধুমাত্র তাঁরাই মৌলিক অধিকারের সুবিধা পাবেন, জানাল শীর্ষ আদালত
খোলা বাজার নির্ভর হলেও খাতায়কলমে হিন্দুস্তান জিঙ্কের নিয়ন্ত্রণ তাই এখনও সরকারের হাতেই ছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, অনেক হয়েছে, আর নয়। ফলে নিজেদের হাতে থাকা সব শেয়ারই বেচে দিচ্ছে বিজেপির সরকার। সরকারের হাতে থাকা শেয়ারের বাজারদর ৩৯,৩৮৫.৬৬ কোটি টাকা। অর্থনীতিবিদদের ধারণা, একদিকে ব্যাপক মূল্যস্ফীতি এবং শেয়ার বাজারের ক্রমাগত রক্তক্ষরণের জেরে কেন্দ্র কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না। হাতে থাকা বিভিন্ন সংস্থার শেয়ার বেচে কোষাগারে নগদের জোগান বাড়ানোর মরিয়া চেষ্টা করছে। কারণ, কয়েকটি সরকারি সংস্থার বিলগ্নীকরণে দেরি হচ্ছে। যে তালিকায় রয়েছে পবন হংস, শিপিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া, আইডিবিআই ব্যাঙ্ক বা ভারত পেট্রোলিয়ামের মতো সংস্থা।
আরও পড়ুন-ঘুঘুর ফাঁদ দেখতে চাইলে আসুন সাঁওতাল সংগ্রহশালায়
ভারতীয় জীবনবিমা নিগমের যে পরিমাণ শেয়ার বিক্রি করা হবে বলে প্রথমে স্থির হয়েছিল, পরে তার পরিমাণ কমিয়েছে কেন্দ্র। সেই শেয়ারও বাজারে তেমন সাড়া ফেলতে পারেনি। দাম পড়েছে। এই অবস্থায় বিরোধীদের ভাষায় বেচারাম সরকার হওয়া ছাড়া মোদির কাছে বিকল্প কোনও গঠনমূলক অর্থনৈতিক পরিকল্পনা নেই। সেই চেষ্টাও নেই। ভাবখানা এমন যে, সহজ সমাধান যদি দেশের মাটি আর সম্পদ বেচেই হয়ে যায়, তবে খেটে লাভ কী! সাধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, মোদির জমানায় চলছে দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান লুঠ।