প্রতিবেদন : কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বঞ্চিত বাংলার মায়েরাও। ‘বাংলা মাতৃ প্রকল্পে’ রাজ্যকে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে বিধানসভায় সরব হলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি জানান, এই প্রকল্পে গত দু’বছরে ৮৯ লক্ষ মায়ের জন্য বরাদ্দ ৯০০ কোটি টাকা দেয়নি কেন্দ্র। গুজরাতের অনুকরণে কেন্দ্রীয় সরকারের শুরু করা ‘প্রধানমন্ত্রী মাত্রু বন্দনা যোজনা’ এ রাজ্যে ‘বাংলা মাতৃ প্রকল্প’ নামে পরিচালিত হয়। যেখানে তিনটি ভাগে গর্ভবতী হওয়ার সময় থেকে সন্তান জন্ম দেওয়ার পর পর্যন্ত মোট ৫ হাজার টাকা করে পান মহিলারা। এই প্রকল্পে খরচের একটি বড় অংশ জোগায় রাজ্য। বাকি অংশ অনুদান হিসেবে দেওয়ার কথা কেন্দ্রের।
আরও পড়ুন-নতুন শিল্প, কর্মসংস্থানই লক্ষ্য
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, ‘‘২ বছর বাংলা মাতৃ প্রকল্পে গর্ভবতী অবস্থা থেকে এই প্রকল্পে সাহায্য পাওয়ার কথা। কিন্তু তাঁরা পাচ্ছেন না। কেন্দ্রীয় সরকার দিচ্ছে না। ৯০০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। নামের জন্য যারা বঞ্চনা করে এদের ধিক্কার জানানোর ভাষা নেই।” প্রকল্পে গুজরাতি ছোঁয়া দূর করে বাংলার নাম যুক্ত করাই কেন্দ্রীয় সরকারের রাগের কারণ কি না তা নিয়ে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য প্রশ্ন তুলেছেন। এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নামে গুজরাতি ছোঁয়া আছে। আমরা যদি নামের বদলে প্রকল্পের করি তাহলে ক্ষতি কোথায়!” বাজেট আলোচনার শেষে জবাবি ভাষণে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী রাজ্যের সামগ্রিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা মানোন্নয়নের দিকটি তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন-বিয়ের আসরে রক্ত দিলেন পাত্র-পাত্রী
করোনার বিরুদ্ধে দু’বছরের লড়াই এবং তার সাফল্যের দিকটিও ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, কোভিড আক্রান্তদের জন্য অক্সিজেন পরিষেবাটা সে সময় খুবই জরুরি ছিল। সে কারণে ২৭টি হাসপাতালে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। ১৩.১৮ কোটি মানুষকে রাজ্য সরকার উদ্যোগ নিয়ে ভ্যাকসিন দিয়েছে। বিরোধীদের উদ্দেশ্যে বলেন, জীবন বিপন্ন করে কাজ করেছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। বিরোধী দলের থেকে সমালোচনা করলেও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশংসা করতে দেখি না। সাধারণ মানুষের জন্য আরও বেশ কিছু পরিষেবার কথা তুলে ধরে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, এসএসকেএম ও উত্তরবঙ্গ হাসপাতালে ক্যান্সারের চিকিৎসা হচ্ছে।