প্রতিবেদন : ব্রিটিশ আমলে চালু হওয়া দেশদ্রোহ আইন নিয়ে আগেই একাধিকবার বিতর্ক হয়েছে। বিভিন্ন মহল থেকে এই আইনের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টও (British law- Supreme court) বলেছে, বর্তমান সময়ে এই ব্রিটিশ আইন বজায় রাখার যৌক্তিকতা কী? সর্বস্তরে চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার বুধবার সুপ্রিম কোর্টকে জানাল, ঔপনিবেশিক আমলের দেশদ্রোহ আইনের ধারা এবং সাজার বিধানগুলি পুনর্বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে আইন বদল হবে।
প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি জে পি পারদিওয়ালার বেঞ্চে দেশদ্রোহ আইন সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলছে। এই মামলায় কেন্দ্রের তরফে অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরমানি শীর্ষ আদালতকে (British law- Supreme court) বলেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪ ধারা-সহ দেশদ্রোহ আইনের আওতায় থাকা বিভিন্ন ধারাগুলি খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেছে কেন্দ্র। সেই প্রক্রিয়া এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। প্রয়োজনে ব্রিটিশ জমানার বিধান বদল করা হতে পারে। ১৮৭০ সালে ব্রিটিশ শাসনকালে এই আইন কার্যকর হয়। সেই সময়ে এই আইন ব্রিটিশ সরকারের বিরোধীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হত। দেশদ্রোহ একটি জামিন-অযোগ্য অপরাধ। যদি কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা দায়ের করা হয়, তবে তিনি সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
আরও পড়ুন-বাংলার বকেয়া নিয়ে দিল্লিতে নীরব কেন অধীর? কংগ্রেস-বিজেপি আঁতাত! আক্রমণ অভিষেকের
পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৫ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে দেশদ্রোহের ধারায় ৩৫৬টি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। এই সব মামলায় ৫৪৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল মাত্র ১২ জন। এই আইনের বিরুদ্ধে শুনানির সময়, সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারকে এই আইনটি পর্যালোচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল। একই সঙ্গে শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, পর্যালোচনার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত দেশদ্রোহের ধারায় কোনও মামলা নথিভুক্ত করা উচিত নয়। সেই নির্দেশ মেনেই কেন্দ্র শীর্ষ আদালতের কাছে নিজের অবস্থান জানাল।