প্রতিবেদন : ফের বঙ্গ বিরোধী পদক্ষেপ মোদি সরকারের। আলু উত্পাদনে দেশের শীর্ষস্থানীয় রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে বাংলা। এবার আলু চাষের জন্য অপরিহার্য সারের উপর ভরতুকি কমিয়ে রাজ্যের কৃষকদের জন্য সংকট তৈরি করল কেন্দ্র। আলু-সহ রবিশস্য চাষে অপরিহার্য এনপিকে ১০:২৬:২৬ পটাশ সার। রবি মরশুমে রাজ্যে ৬ লাখ ৭২ হাজার হেক্টর কৃষিজমির জন্য ৫ লক্ষ ১ হাজার মেট্রিক টন এনপিকে সারের প্রয়োজন। যার মধ্যে আলু চাষের জন্য লাগে ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন।
আরও পড়ুন-দুর্যোগ উড়িয়ে চন্দননগরের মণ্ডপে শেষ তুলির টান
এবার রাজ্যের চাহিদামতো সার দেয়নি কেন্দ্র। যার জন্য আগেই প্রতিবাদ জানিয়ে নবান্নের তরফে কেন্দ্রকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এবার ভরতুকির অঙ্ক কমিয়ে রাজ্যকে নতুন ভাবে বঞ্চনার ছক কষছে কেন্দ্র। এমনই দাবি রাজ্যের কৃষিকর্তাদের।
আরও পড়ুন-কমলালেবুর খোসা থেকে আতর, জীবাণুনাশক তেল
কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় শুক্রবার নবান্নে জানিয়েছেন, এই সারের উপরে একসময় প্রতি কেজিতে ২২ টাকা করে ভরতুকি দেওয়া হলেও গত খরিফ মরশুমের আগে তা কমিয়ে ২ টাকা ৩৮ পয়সা করে দেওয়া হয়েছে। এরফলে দরিদ্র কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। পাশাপাশি রাজ্যের চাহিদামতো জোগান না দেওয়ায় এই সার নিয়ে কালোবাজারি শুরু হয়েছে। যা রুখতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য। এদিন কৃষিমন্ত্রী জানান, কালোবাজারি রুখতে আমরা একাধিক ব্যবস্থা নিচ্ছি। প্রয়োজনে ডিলারদের কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। লাইসেন্স সাসপেন্ড করা হতে পারে। সেইসঙ্গে তিনি এও জানান, কালোবাজারি রুখতে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। যেসব জায়গা থেকে অভিযোগ বেশি আসছে, সেইসব জায়গার দোকানগুলিতে হানা দেওয়া হচ্ছে। কী দামে সার বিক্রি করছে তারা, গোডাউনে সার মজুত করে রাখা হয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ-প্রশাসন।
আরও পড়ুন-মাঠে ধান কাটার আগে মুঠিসংক্রান্তিতে পা ধুয়ে কৃষক-বরণ
দোকানে দোকানে কীভাবে সার বিক্রি হচ্ছে, কত দাম নেওয়া হচ্ছে, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে দোকানগুলিতে সারের মূল্য তালিকা টাঙানো আছে কি না সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে। যদি না থাকে অবিলম্বে তার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, মজুত সারের হিসেব মিলিয়ে দেখছে জেলা পুলিশ-প্রশাসন।