প্রতিবেদন : খোদ মুখ্যমন্ত্রীই বিরোধীদের পেটানোর হুমকি এবং উসকানি দিচ্ছেন! বিজেপি শাসিত হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর এই কাণ্ড দেখে তাজ্জব রাজনৈতিক মহল। রাজ্যে জনসমর্থন কমছে বুঝে যেভাবে বিরোধীদের নিশানা করছেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর, তা নিয়ে প্রবল বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন-নেইমারকে পেতে আসরে ম্যান ইউ
হরিয়ানার ডবল ইঞ্জিন সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর সম্প্রতি জনসংবাদ যাত্রা শুরু করেছেন। কিন্তু শুরুর পর থেকেই সেই জনসংবাদ কার্যত জনবিতর্কে পরিণত হয়েছে৷ রাজ্যের চার জেলায় অনুষ্ঠিত খট্টরের জনতা দরবারে মুখ্যমন্ত্রীকে বেশ কয়েকবার মেজাজ হারিয়ে বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে হুমকি দিতে দেখা গিয়েছে। এমনকী, রাজ্য সরকারের কাজকর্ম নিয়ে ‘অপ্রিয়’ প্রশ্ন করায় এক আপ সমর্থককে লাঠিপেটা করার নিদানও দিয়েছেন খট্টর।
আরও পড়ুন-প্রথম দফার ভারতীয় দল ইংল্যান্ড পৌঁছল
বিক্ষোভের ভয়ে মুখ্যমন্ত্রীর জনসংবাদ চলাকালীন বিরোধী নেতা এবং বিক্ষোভকারীদের নিজেদের বাড়িতে আটকে রাখছে পুলিশ। এমন অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে সব মহল। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা রাজকুমার শর্মা বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর জনসংবাদ এখন লাঠিসংবাদে পরিণত হয়েছে। কোনও কারণ ছাড়াই এই কংগ্রেস নেতাকে তিনদিনের জন্য গৃহবন্দি করা হয়। শর্মার অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সাড়ে ৮ বছরের মেয়াদে সিরসার জন্য মোট ১৩৫টি প্রকল্প ঘোষণা করেছেন। যার মধ্যে ৯০ শতাংশই এখনও বাস্তবায়ন করা হয়নি। এসবের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ হতে পারে আগাম আশঙ্কা করেই বিরোধী নেতাদের আটকে রাখা বা পেটানোর নিদান দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন-প্রথম দফার ভারতীয় দল ইংল্যান্ড পৌঁছল
সম্প্রতি হরিয়ানা সরপঞ্চ অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি সন্তোষ বেনিওয়ালকেও গৃহবন্দি করা হয়েছিল। হরিয়ানা সরপঞ্চ অ্যাসোসিয়েশন খট্টরকে ঘেরাও করার হুমকি দেওয়ার পরেই ওই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। বেনিওয়াল বলেছেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা সকলের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু হরিয়ানার বিজেপি সরকার দল নির্বিশেষে সেই অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। তবে প্রতিবাদ রুখতে নানা চেষ্টা হলেও সাধারণ মানুষ নানাভাবে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। গত ১৫ মে বানি গ্রামে খট্টরের জনসংবাদে একজন মহিলা সরপঞ্চকে কথা বলতে না দেওয়ায় তিনি বিরক্ত হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে তাঁর দোপাট্টা ছুঁড়ে ফেলে প্রতিবাদ জানিয়ে চলে যান।