প্রতিবেদন : দক্ষ সিভিক ভলান্টিয়ারদের শর্তসাপেক্ষে স্থায়ী পদে নিয়োগের কথা ভাবছে রাজ্য সরকার। ভাল কাজ করলে তিনি স্থায়ী চাকরির সুযোগ পাবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই তাঁর অধীন স্বরাষ্ট্র দফতরকে এই বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত আদৌ কার্যকর হবে কি না, হলে তা কবে থেকে, সে ব্যাপারে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী সোমবার অর্থ, শ্রম, শিক্ষা, কৃষির মতো ১৫টি দফতরের প্রধান সচিব, সচিব ও অতিরিক্ত মুখ্যসচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন-কর্মহীনতার আঁধার দেশকে ঢাকছে, মোদি সরকার কেবলই ঘুমোচ্ছে
নবান্ন সূত্রে খবর, ওই বৈঠকে তিনি নিজের হাতেই থাকা স্বরাষ্ট্র দফতরের কর্তাদের এই বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করার পরামর্শ দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে রাজ্যের বিভিন্ন থানায় অনেক কনস্টেবল পদ খালি রয়েছে। কারণ, অনেক কনস্টেবলের পদোন্নতি হয়েছে। আগামী দিনে আরও পদ খালি হবে। সেখানে দক্ষ সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ করা যায় কি না তা ভাবার জন্য স্বরাষ্ট্র দফতরকে পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে এদিনের বৈঠকে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে জমা পড়া অভাব-অভিযোগের দ্রুত নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার রাজ্যের পনেরোটি দফতরকে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এক বৈঠকে তিনি এব্যপারে প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সুস্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন। প্রতিটি দফতরকে টাস্ক ফোর্স তৈরি করে দ্রুত মানুষের সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন-বিরোধীদের অশুভ জোট প্রকাশ্যে, জবাব ইভিএমে
মুখ্যমন্ত্রী এদিন স্বরাষ্ট্র, অর্থ, শ্রম, শিক্ষা, নগরোন্নয়ন, কৃষি, স্বাস্থ্য, খাদ্য বণ্টন, সংখ্যালঘু উন্নয়ন, ভূমি সংস্কার, অনগ্রসর শ্রেণি, পূর্ত দফতর, পঞ্চায়েত, শিশু ও সমাজ কল্যাণ এবং সিএমওর সচিব ও শীর্ষ আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন। এই সব দফতর একাধিক জনকল্যাণ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। সূত্র মারফত খবর, সরকারি প্রকল্পের সুবিধা সব মানুষের কাছে ঠিকঠাক না পৌঁছনোর কারণে সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে উষ্মাপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিটি দফতরের জন্য আলাদা আলাদা টাস্ক ফোর্স গঠন করে সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের গ্রিভান্স সেলে যেসব অভিযোগ জমা পড়ে রয়েছে, সেগুলি খতিয়ে দেখে দ্রুত নিষ্পত্তির দিকে নজর দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে যেসব অভিযোগ আসে, সেই অভিযোগগুলি সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন-রাজ্যপালের সচিব পদের জন্য তিনটি নাম পাঠাল নবান্ন
তবে শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট জায়গায় অভিযোগগুলি পাঠালেই হবে না, সেই অভিযোগগুলি সত্যি সমাধান হচ্ছে কি না, সেগুলিও দফতরের সচিবকে দেখতে নির্দেশ দেওয়া হয়। সমস্যার সমাধান হচ্ছে কি না, তা দেখতে প্রয়োজনে অভিযোগকারীকে ফোনও করতে হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে জানিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। শুধু মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের গ্রিভান্স সেলে জমা পড়া অভিযোগ নয়, শাসক দলের ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে যেসব অভিযোগ জমা পড়েছিল, তা ইতিমধ্যেই সরকারকে জানিয়েছে তারা। সূত্রের খবর, সেই অভিযোগেরও দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে বলে জানানো হয়েছে।