বিরোধীদের অশুভ জোট প্রকাশ্যে, জবাব ইভিএমে

ইঙ্গিত স্পষ্ট। সাগরদিঘির মণিগ্রামে কুপনের বিনিময়ে বিজেপি ভোটারদের প্রভাবিত করতে মুড়ি-ঘুগনি খাওয়ানোর ব্যবস্থা করে।

Must read

প্রতিবেদন : সাগরদিঘির উপনির্বাচনকে সামনে রেখে রাম-বাম ও কংগ্রেসের অশুভ আঁতাঁত এবার প্রকাশ্যে চলে এল। একা এই তিন দলের কারও পক্ষে তৃণমূল কংগ্রেসকে আটকানো সম্ভব নয় বুঝেই এই অশুভ আঁতাঁত করতে হয়েছে। এতে এই তিনটি দলের ভিতরের কঙ্কালসার চেহারাটা যেমন বেরিয়ে পড়েছে, একইসঙ্গে তাদের অসহায় অবস্থাও প্রকট হয়েছে। দিনভর এরা একে অপরের হয়ে ভোট করিয়েছে। এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের স্পষ্ট বক্তব্য, ঝুলি থেকে বিড়াল বেরিয়ে পড়েছে।

আরও পড়ুন-রাজ্যপালের সচিব পদের জন্য তিনটি নাম পাঠাল নবান্ন

তবে এতে তৃণমূল কংগ্রেসের চিন্তার কোনও কারণ নেই। মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকেই ভোট দিয়েছেন। আগামী ২ মার্চ ফল প্রকাশের দিনই বিজেপি-সিপিএম ও কংগ্রেস আসল ছবিটা বুঝতে পারবে। সাফ কথা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের। তবে সোমবার প্রত্যাশামতো শান্তিপূর্ণ ভাবেই সাগরদিঘি কেন্দ্রের উপনির্বাচন হয়েছে। বিজেপি ও কংগ্রেস প্রার্থী গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করলে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা তার তীব্র প্রতিবাদ করেন। এরকম দু-একটি ঘটনা বাদ দিলে মোটের উপর উৎসবের মেজাজেই সাগরদিঘির মানুষ ভোট দিলেন দিনভর। ভোটকেন্দ্রে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী সোমবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৭৩ শতাংশ। ভোট গ্রহণ চলে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা পর্যন্ত। তবে রাজ্য পুলিশকে বুথ থেকে সরিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে তৃণমূল প্রার্থী দেবাশীষ বন্দোপাধ্যায়কে বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়া, কুপন দিয়ে ভোটের বিনিময়ে ঘুগনি-মুড়ি বিলির সময় হাতে নাতে পাকড়ানো এরকম বেশ কিছু ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর অতিসক্রিয় ভূমিকা লক্ষ করা গিয়েছে। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা সবরকম প্ররোচনা এড়িয়ে মাথা ঠান্ডা রেখেই ভোট প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেছেন।

আরও পড়ুন-গরমের শুরুতে সান্দাকফু ও সিকিমে প্রবল তুষারপাত

সোমবার দিনের শুরুতেই কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাসের সঙ্গে কংগ্রেস নেতা সাইদুর রহমানের ভোটের টাকা লেনদেন সংক্রান্ত হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ভাইরাল হয়ে যায়। এতে বিপাকে পড়ে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামতে হয় অধীর চৌধুরিকে। একটা সময় বাইরন বিশ্বাসকে তাঁর গাড়ির সঙ্গে প্রচুর বহিরাগতদের নিয়ে বুথে বুথে ঘুরতে দেখা যায়। এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা। এদিন বিজেপি প্রার্থী আচমকাই সকালের দিকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে বুথে ঢুকে রাজ্য পুলিশের কর্মীদের বের করে দেন। এতে সাময়িক ভাবে উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযোগ যায় কমিশনে। বিজেপি প্রার্থী ও কংগ্রেস প্রার্থীকে দেখা যায় হাসিমুখে কোলাকুলি করতে।

আরও পড়ুন-বিশ্বভারতী উপাচার্যের জরিমানা বহালই রইল

ইঙ্গিত স্পষ্ট। সাগরদিঘির মণিগ্রামে কুপনের বিনিময়ে বিজেপি ভোটারদের প্রভাবিত করতে মুড়ি-ঘুগনি খাওয়ানোর ব্যবস্থা করে। দোকানদার ভজহরি মণ্ডল তা স্বীকার করায় পরিস্থিতি ঘোরালো হয়। অভিযোগ জমা পড়ে কমিশনে। এসব দেখে দিনের শেষে কুণাল ঘোষ নির্বাচনী প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিটি বুথে অন্তত ৫১ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ ভোট পাবে। তবে বিজেপি-সিপিএম ও কংগ্রেসের অশুভ আঁতাঁত মানুষের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেল।

Latest article