নোবেলজয়ীকে উচ্ছেদ রুখতে অবস্থানের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

গৌরী টুডু এবং শিক্ষিকা মনীষা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যে কদর্য ভাষায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিত্বকে আক্রমণ করছেন, তা মেনে নেব না।

Must read

সংবাদদাতা, কলকাতা ও শান্তিনিকেতন : জোর করে উচ্ছেদের অপচেষ্টার প্রতিবাদে অমর্ত্য সেনের বাড়ির সামনে স্থানীয় নেতা, মন্ত্রী, শিল্পী-বুদ্ধিজীবী ও তৃণমূল কর্মীদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে বীরভূমের বিধায়ক-মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহকে বলেন, ‘‘বিশ্বভারতী থেকে অমর্ত্য সেনের বাড়িতে জমি দখল করতে এসে যদি বুলডোজারও চালায়, তাহলেও আপনারা অবস্থান থেকে একচুল নড়বেন না।’’‌ বাউল, লোকশিল্পীদের নিয়ে অবস্থান কর্মসূচিতে গান, আবৃত্তি-সহ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনও করতে বলেছেন তিনি।

আরও পড়ুন-অভিষেক আসছেন, উদ্দীপিত ফরাক্কা

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমতো ‘গর্বের উপর আক্রমণ! প্রতিরোধে এগিয়ে আসুন!’ এই স্লোগান তুলে ৬ মে প্রতীচীর সামনে সারাদিনব্যাপী অবস্থানে শামিল হচ্ছেন গায়ক কবির সুমন, শিল্পী যোগেন চৌধুরী, শুভাপ্রসন্ন, পরিচালক গৌতম ঘোষ প্রমুখ। ‘রবীন্দ্রচিন্তা রুদ্ধকারী, অমর্ত্য সেনের লাঞ্ছনাকারী ও উপাচার্য নিপাত যাক’ ধ্বনিতে সরব হচ্ছে বিশ্বভারতী বাঁচাও কমিটি। পয়লা মে রাতে শান্তিনিকেতনের বাসিন্দাদের একাংশ মশাল মিছিলের মাধ্যমে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন। গৌরী টুডু এবং শিক্ষিকা মনীষা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যে কদর্য ভাষায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিত্বকে আক্রমণ করছেন, তা মেনে নেব না।

আরও পড়ুন-ইট ছুঁড়লে পাটকেল খেতে হবে, গম্ভীরের সঙ্গে ঝামেলার পর বিস্ফোরক বিরাট

৬ মে-র মধ্যে উচ্ছেদের প্রক্রিয়া চালু রেখেছে বিশ্বভারতী। পাশাপাশি, সিউড়ি জেলা দায়রা আদালতে অমর্ত্যর আইনজীবীর দায়ের করা মামলার শুনানি ১৫ মে। উপাচার্য জানান, দায়রা আদালতের রায় মনঃপুত না হলে তাঁরা উচ্চ আদালতে যাবেন।

Latest article