সংবাদদাতা, বাঁকুড়া : বিষ্ণুপুর (Bishnupur) পুরসভা দেড়শো বছর পূর্তি উপলক্ষে বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হল সুভাষ উদ্যান। বিষ্ণুপুর শহরের প্রবেশদ্বারে কাটান ধারে আগে একটি প্রবেশদ্বার তৈরি হয়। সেটিকে কেন্দ্র করে তার পাশেই সুভাষ উদ্যানের কাজ শুরু হয়েছে। সেখানে বিধায়ক তহবিল থেকে নেতাজি সুভাষচন্দ্রের পূর্ণাবয়ব মূর্তি বসানোর পাশাপাশি একটি সুন্দর উদ্যান তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ তাঁর বিধায়ক তহবিল থেকে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।
আরও পড়ুন-মহেশরা ফেরায় শক্তি বাড়ছে ইস্টবেঙ্গলের
শহর বিষ্ণুপুর ও বাইপাস বিষ্ণুপুরের মাঝে দু’বিঘা জায়গায় বেড়া দেওয়া হবে। তার মাঝখানে বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে কিছু পাইন গাছ লাগানো হয়েছে। আগামী দিনে শহরের সৌন্দর্যায়নের দিকে লক্ষ্য রেখে ফুলগাছ লাগানো হবে বলেও জানা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যটন কেন্দ্রগুলির দিকে বিশেষ নজর দিয়েছেন। বিষ্ণুপুর যাতে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সিটির দিকে তাড়াতাড়ি যেতে পারে সে জন্য পর্যটকদের স্বাগত জানাতে শহরে ঢোকার প্রতিটি রাস্তায় তোরণ তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিধায়ক তন্ময় ঘোষ বলেন, এলাকা উন্নয়নের তহবিল থেকে আমি ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছি তোরণের পার্শ্ববর্তী পরিত্যক্ত জায়গাটির সৌন্দর্যায়ন করে যাতে পর্যটকদের নজরে আনা যায়। বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ প্রশাসন ও বন দফতরের উদ্যোগে এই পরিকল্পনা করা হয়েছে। ত্রিমুখী এই রাস্তায় যে উদ্যান তৈরি হবে তা পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।